রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সর্বহারা পার্টির আত্মসমর্পন করা সদস্য গুলিবিদ্ধ ইয়ার আলী প্রামানিক (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার চর বরাট গ্রামের মৃত ফেরদৌস প্রামানিকের ছেলে। গত শনিবার রাতে ইয়ার আলী প্রামানিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
স্থানীয়রা বলেন, ইয়ার আলী প্রামানিক বরাট অন্তার মোড় এলাকায় চায়ের দোকান করেন। প্রতিদিনের মত তিনি গত ১০ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত ১০টার দিকে চায়ের দোকান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে তার পেটে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় তিনি জীবন রক্ষায় পাশের হারু সরদারের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। দুর্বৃত্তরা আরো কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পদ্মা নদীর দিকে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে স্থানান্তর করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, ঘটনাস্থল থেকে চারটি শর্টগানের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। ইয়ার আলী নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা দলের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে চরমপন্থী বেশকিছু সদস্যের সাথে সেও সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করে।
পূর্বের কোন বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। গত শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়ার আলী প্রামানিকের মৃত্যু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন