উত্তর : ঘুষ নেয়া হারাম। যে অনিয়মের জন্য ঘুষ নেয়া হয়, সেখানে ঘুষ না নিয়ে চাঁদা নেয়াও হারাম। হোক তা নিজে খাওয়ার জন্য অথবা মসজিদ-মাদরাসার জন্য। নবী করিম (সা.) এক সাহাবীকে সরকারী কাজে নিয়োগ করেন, তখন সে সাহাবী রাজস্ব বাবদ কিছু অর্থ নবীজির (সা.) কাছে জমা দেন। আর কিছু অর্থ এ বলে নিজের কাছে রেখে দিতে চেষ্টা করেন যে, এসব মানুষ আমাকে হাদিয়া দিয়েছে। হুজুর তখন বললেন, তোমাকে যদি এ পদে না বসাতাম, তাহলেও কি তারা তোমাকে এসব হাদিয়া দিত? সাহাবী বললেন, কখনোই না। তখন নবীজি (সা.) বললেন, এগুলোও বায়তুল মালে জমা করে দাও। কেননা, ক্ষমতাসীনদের হাদিয়াও ঘুষ। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন, এসব চাঁদা যদি মানুষ কোনো স্বার্থ ছাড়া শুধুই আল্লাহর ওয়াস্তে খুশি মনে দেয় তাহলে এক কথা। আর যদি ঘুষ দিতে হয় না বলে আপনার মন যোগাতে আপনার মসজিদ মাদরাসায় চাঁদা হিসেবে দেয়, তাহলেও এসব থেকে বেঁচে থাকাই ভালো। এসব সন্দেহজনক আয়।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন