জায়ান্ট সেল আর্টারাইটিস বড় রক্তনালীর প্রদাহ। টেমপোরাল এবং অপথ্যালমিক ধমনীর শাখায় অসুখটিতে সমস্যা হয়। সাধারণত ৭০ বছরের দিকে জায়ান্ট সেল আর্টারাইটিস হয়। মেয়েদের অসুখটি বেশী হয়।
ধীরে ধীরে অথবা হঠাৎ করেই জায়ান্ট সেল আর্টারাইটিসের লক্ষণ শুরু হয়। মাথাব্যথা থাকে। টেম্পোরাল এবং অক্সিপিটাল অংশে ব্যথা হয়। স্কাল্পে ব্যথা থাকে। চোয়ালে ব্যথা হয়। চাবানোর সময় বা কথা বলার সময় এ ব্যথা হয়। চোখে দেখতে সমস্যা হয়। হঠাৎ করেই এক চোখে অন্ধত্ব দেখা দিতে পারে। ক্ষুধামন্দা , ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া এবং জ্বর থাকতে পারে।
জায়ান্ট সেল আর্টারাইটিেেসর পরীক্ষা নিরীক্ষায় ঊঝজ এবং ঈজচ বেশী পাওয়া যায়। টেম্পোরাল আর্টারি বায়োপসি করলে রোগটি বোঝা যায়। আর্টারির সব অংশ আবার রোগটিতে আক্রান্ত হয়না। তাই স্বাভাবিক পেলেও বলা যাবে না রোগটি হয়নি।
জায়ান্ট সেল আর্টারাইটিস সন্দেহ হলেই কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ শুরু করা উচিত। দেরী করা উচিত নয়। না হলে অন্ধত্ব বরণ করতে হতে পারে। ১ বছর ধরে চিকিৎসা চালানো হয়। তবে ভাল হবার পরেও রোগটি পুনরায় হতে পারে।
জায়ান্ট সেল আর্টারাইটিসের রোগী প্রায়ই পাওয়া যায়। তাই উপরোক্ত লক্ষন দেখা দেয়া মাত্রই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন