ল্যাংড়া ভূতের খেলা
ছি কিত্্ কিত্্
ল্যাংড়া ভূতে করছে খেলা
গাইছে সুরের গীত।
উঠোনে দ্যায় পাড়া-
এক দমেতে আনতে হবে
বর্গা ঘরের চাড়া।
ছয় ঘরের এক কোট,
ছয়টা ভূতে করছে খেলা
নেই যে কোন জোট।
নেই যে আপন পর,
যে যার মতো খেলছে খেলা
কিনছে বর্গাঘর।
ল্যাংড়া ভূতের খেলা-
বারে বারে পড়া-ওঠায়
কাটে সারা বেলা।
খেলা হয় না শেষ,
ছয়টা ভূতের ল্যাংড়া হবার
কষ্ট অনিঃশেষ!
বাতেন বাহার
বাঙালিদের প্রাণের মেলা
চৈত্র মাসের দস্যি হাওয়ায় ধুলায় ধূসর মাঠ
বিল চৌচির শুকনো দীঘি শুকনো জলের ঘাট।
স্রোতস্বিনীর বক্ষে বিশাল ধূ ধূ বালির চর
তপ্ত রোদে অল্পক্ষণেই শুকায় কাঁচা খড়।
গম-কাউনের শুকনো গাছে শস্য দানা বাজে
আকাশ পাড়ের সোনালি রঙ্-আবির ছড়ায় সাঁঝে।
নতুন আশায় পূজোর ঘরে মাটির প্রদীপ জ্বলে
ধান শীষেরা কৃষাণ বধূর মনের কথা বলে।
আমের বনে কোকিল ডাকে, বঁইচি বনে টুনি
গল্প কথায় নতুন দিনের দীপ্ত প্রহর গুনি।
চৈত্র শেষে বোশেখ আসে, আসে নতুন সাল
আম মউ মউ দিনের খবর-আনে গ্রীষ্মকাল।
খেয়ার ঘাটে- সংক্রান্তির-বাজলে বিদায় বাঁশি
রাতের শেষে ভোরের সুরুজ জাগায় মনে হাসি।
সেই হাসিতে বাঙালিদের প্রাণের মেলা শুরু
মেলায় আগাম ছন্দ জাগায় বিশ্বকবি গুরু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন