শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনালি আসর

বই পড়লেই আনন্দ

| প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

না রা য় ণ চ ন্দ্র রা য় : বই জ্ঞানের প্রতীক। বই জ্ঞানের ভান্ডার। বই জ্ঞানের ধারক এবং বাহক। বই অনন্ত যৌবনা। একটি ভালো বই অনন্ত যৌবনের অধিকারী। অনন্ত যৌবনের সুধা আমাদের পান করা উচিত। বহু ভাষাবিদ ও জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর গল্পটি তুলে ধরা হলো। তিনি প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। এটা শেষ পর্যন্ত তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। তিনি বইয়ের ভিতরে নিমগ্ন থাকতে পছন্দ করতেন। তিনি একদিন পাঠাগারের এক কোনায় বসে বই পড়ছিলেন। এক সময় লাইব্রেরিয়ান পাঠাগার বন্ধ করে চলে যান। তিনি তখনও মুগ্ধ হয়ে বই পড়ছিলেন। যত বড় বই-ই হোক, তিনি একবারে শেষ না করে কোনোভাবেই টেবিল থেকে উঠতেন না। পরদিন যথাসময়ে পাঠাগার খোলা হলো। লাইব্রেরিয়ান দেখতে পেলেন শহীদুল্লাহ মগ্ন হয়ে বই পড়ছেন। লাইব্রেরিয়ান অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, আপনি কি সারা রাত পাঠাগারে বন্দি ছিলেন? আর তখনই শহীদুল্লাহ ধ্যান ভেঙে গেল। লাইব্রেরিয়ান লোকটির প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন- সে রকম কিছু নয়। আমি তো কেবল বই পড়ছিলাম।
মানুষের বিচিত্র শখ। আর আনন্দ প্রাপ্তিরও রয়েছে বিভিন্ন মাধ্যম। দেশ ভ্রমণ, বইপড়া, ফুলের বাগান করা, মাছ ধরা, গল্প বলা, কবিতা আবৃত্তি করা, গান শোনা, সিনেমা দেখা প্রভৃতি। দেশ ভ্রমণ করা, বইপড়া ও ফুলের বাগান করাÑ এ তিনটি শখের মধ্যে বই পড়াই সচেতন মহলে শ্রেষ্ঠ শখ হিসেবে বিবেচিত। অচেনাকে চেনা, অজানাকে জানার কৌত‚হল মানুষের চিরদিনের। এ জানার অন্যতম সহজ মাধ্যম হলো বই পড়া। এ জন্য প্রথমে একটি ভালো বই নির্বাচন করতে হবে। এটা যে কোনো ধরনের বই হতে পারে। গল্পের বই, কবিতার বই, উপন্যাসের বই, প্রবন্ধের বই, মনীষীদের আত্মজীবনী, রম্য-রচনা, ভ্রমণ কাহিনী প্রভৃতি। বইপড়া হলো অনাবিল আনন্দের অফুরন্ত উৎস। কাব্য, উপন্যাস, গল্প, রম্য-রচনা পাঠ করে যে আনন্দ পাওয়া যায় তার তুলনা অপরিসীম। বই পড়ার আনন্দ তখনই সার্থক হবে যখন গ্রন্থ নির্বাচন সঠিক হবে। মনে রাখতে হবে যে, একখানা ভালো বই অনন্ত যৌবনা।
সুখ-দুঃখ মানুষের জীবনে পালাক্রমে আসে। সুখ-দুঃখ যেন একে অপরের পরিপূরক। মনের ভিতরে জমাট বেঁধে থাকা জ্বালা-যন্ত্রণা মানুষকে কষ্ট দেয়। বই পড়ার মধ্য দিয়ে মনের ভিতরের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর করা সম্ভব। বই মানুষের জীবনে এবং চলার পথে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। টলস্টয় জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সে তিনটি জিনিস হলো : বই, বই, বই। গোর্কি তার জীবনে সমস্ত ভালো অংশের কৃতিত্ব দিয়েছেন বইকে। মন এবং আত্মার শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। নিজেকে এবং বিশ্বকে চিনতে ও জানতে হলে বই-ই হতে পারে শ্রেষ্ঠ দর্পণ। বই পড়ার আনন্দের মধ্যে ডুব দিতে পারলে জগতের কোনো কষ্টই স্পর্শ করতে পারে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন