কা জী আ বু ল কা শে ম র ত ন : মিজুরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল পিকনিকে কুমিল্লা যাবে। ওরা ১৫ জন। পিকনিকের নাম ঠিক করল ‘নয় ছয়”। পিকনিকের সমস্ত কাজ শেষ করে পরদিন সকালে ওরা কিল্লারপুল এলাকা হতে গাড়িতে ওঠে। নয়জন মাইক্রোতে আর ছয়জন প্রাইভেট কারে। যা হোক সময়মতো গাড়ি ছাড়ল। গাড়ি ছাড়তেই যেন আনন্দের বন্যা হয়ে যায়। কেউ গান গায়, কেউ নাচে। দেখতে না দেখতেই তাদের গাড়ি মেঘনা ব্রিজের ওপর গিয়ে থামল। অনেক বড় ব্রিজ। নিচ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘনা। নিচে বড় বড় নৌকা পাল উঠিয়ে যাচ্ছে। চার দিকে সবুজ গাছপালা, খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য। ওদের মনে দোলা দেয়। মিজু আকাশের দিকে তাকায়, সবুজ আকাশ। ওই দিকে পলাশ আর রতন দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। কিছুক্ষণ পর সবাই মিলে গাড়ি থেকে খাবার বের করল। সকালের নাস্তা রুটি আর মাংস, যার যার ইচ্ছামতো ব্রিজের ওপর হেঁটে হেঁটে খাচ্ছে। তাদের খাবারের সৌরভে দূর হতে কাকের দল ছুটে আসে। এ যেন আরেক আনন্দ, সবাই কাকের কাÐ দেখে হাসতে লাগল। কিন্তু কাক কারো কারো মাথায় যেন বসতে চায়, যতসব অবাক কাÐ। দূর হতে মানুষ দেখে হাসছে। খাওয়া শেষ করে সবাই গাড়িতে উঠে পড়ে। গাড়ি আবার চলতে শুরু করল। চলার পথে কোনো সুন্দর দৃশ্য ওদের চোখে পড়লে ওরা গাড়ি থামিয়ে ছুটে যায় ছবি তোলার জন্য। টিটু আর তারেক এক কান্ড করলÑ সবাইকে নিয়ে লাউ গাছের মাচায় বসে লাউ হাতে নিয়ে ছবি তুলল। ছবি তোলার শেষে তারা আবার পিকনিক স্থানের দিকে রওনা হলো। ঠিক দুপুরে তারা পিকনিক স্থানে গিয়ে পৌঁছল। খুব সুন্দর জায়গা, দেখার মতো সেনাবাহিনীর ক্যাম্প, কেল্লা, বনবনানী, ছোট ছোট পাহাড়, বাংলা ঘর সব কিছু ওদের মোহিত করে। ওরা ছুটতে লাগল যে যার আনন্দ উপভোগ করার জন্য। সারা দিন হৈচৈ করে ঠিক খাবারের সময় সবাই হাজির। সবাই মিলে খেতে বসল, খাবারের সময় আরেক কাÐÑ একে অপরের মুরগির মাংস চুরি করতে শুরু করল। কেউ না বেশি খেয়ে সবার চোখে হলো পেটুক। তাদের এ বনভোজনের আনন্দ আজও গল্প কথার মতো আমার হৃদয়পটে গাঁথা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন