সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব থাকতে হবে ছাত্রদের হাতে

রাবির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট

রাবি সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব থাকতে হবে ছাত্রদের হাতে। লেজুরবৃত্তি বা পরনির্ভরতার কোন জায়গা থাকবে না। ছাত্র সমাজকেই এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

গতকাল শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ এসব কথা বলেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। তাই গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করতে হলে দেশে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। আর সেই নেতৃত্ব তৈরি হয় ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই।
বিশ্ববিদ্যালয় মূলত মুক্তচিন্তা বিকাশের জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার মধ্য দিয়ে এখানে নতুন নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্ম হয়। এসব জ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্রমেই সমগ্র বিশ্বের সম্পদে পরিণত হয়। এর ফলে পৃথিবী সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকা এবং এগিয়ে চলার বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে, উচ্চশিক্ষা যাতে সার্টিফিকেট সর্বস্ব না হয় কিংবা শিক্ষা যাতে বানিজ্যিক পণ্যে পরিণত না হয় তা দেশ ও জাতির স্বার্থে সম্মিলিত ভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

রাজনৈতিক জীবনে রাজশাহী কারাগারে থাকার স্মৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামান ছিলেন অসাধারণ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার সাথে অনেকদিন একই কারাগারে এমনকি একই বিছানায় ডবল করে থাকার কথার তিনি উল্লেখ করেন।

সমাবর্তনে অংশগ্রহন করা গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবসময় নৈতিক মূল্যবোধ ও বিবেক ও দেশপ্রেম জাগ্রত রাখবে। কখনও অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত করবে না। মনে রাখতে হবে সমাবর্তন শিক্ষার সমাপ্তি ঘোষণা করছে না বরং উচ্চতর জ্ঞানভান্ডারে প্রবেশের দার উন্মোচন হয়েছে। তোমরা সেই জ্ঞান রাজ্যে অবগাহন করে বিশ্বকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আপনারা এদেশের সম্পদ, দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের একাংশ। আপনাদের আগামী দিনের কার্যক্রমের উপরই নির্ভর করছে দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি। দেশের মানুষের ভাগ্যর পরিবর্তন ও জাতির উন্নয়নে জ্ঞানকে কাজে লাগানোর জন্য গ্রাজুয়েটদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

সমাবর্তন বক্তা হিসাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও প্রফেসর ইমেরিটাস আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দিন গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানবজাতির অনন্যতা তার বুদ্ধিবৃত্তি, বোধশক্তি ও বিচারবুদ্ধিও দায়িত্ব পালন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গ্রাজুয়েট হিসাবে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, আজকের এই তরুণ গ্রাজুয়েটরাই বাংলাদেশের প্রাণ, তারাই আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে, ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে সবসময় থাকবে বলে গ্রাজুয়েটদের প্রতি প্রত্যাশা রাখেন তিনি।

সমাবর্তন শুরুর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠের পর প্রেসিডেন্টসমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সমাবর্তনে অংশগ্রহনকারী গ্রাজুয়েট ও বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জনকারীদের সনদপত্র প্রদান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেনকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ। এবারের সমাবর্তনে মোট ৬ হাজার ১৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন