ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে গনমাধ্যমের টুটি চেপে ধরতেই নতুন কালো আইন তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন সরকার জনমত ও গণমাধ্যম বিরোধীতাকে উপেক্ষা করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। যা নজিরবিহীন, জনআকাক্সক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী পদক্ষেপ। গতকাল (সোমবার) দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চূড়ান্ত অনুমোদন করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে ডাঃ ইরান বলেন, দেশে আজ গনতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই, বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। এর সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা, ব্যাক্তি স্বাধীনতা ও গনমাধ্যমের কন্ঠকে গলাটিপে হত্যা করেছেন। সরকার সাংবিধানিক ক্ষমতার জোরে জনমত ও মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, গনতন্ত্রের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করেছেন, যার পরিনতি হবে ভয়াবহ।
অগণতান্ত্রিক, নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন বাতিলের দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় ক্ষমতা কুক্ষিগত ও জনগণকে জিম্মি করতে এবং মিডিয়ার মুখ বন্ধ করতেই ডিজিটাল কালো আইনের আশ্রয় নিয়েছে। আইন কানুন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও পারবে না।
তিনি আরো বলেন, সভা সমাবেশে বাধা প্রদান, গুম খুন ক্রসফায়ারে বিচার বহির্ভূত হত্যা, নারী-শিশু নির্যাতন ও কালো আইনের বেড়াজালে গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার হরণ, ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে দমন-পীড়ন ও নির্যাতন সরকারের নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করা হয়েছে। সরকারের স্বৈতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী শাসন দেশকে সংঘাত ও সংর্ঘষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কথিত নিরাপত্তা আইন দেশের নাগরিকদের কেবল কন্ঠরোধ করবে না, এই আইনের মাধ্যমে ক্ষমতাশীনদের স্বার্থে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জবাবদিহিতাহীন অসীম ক্ষমতা ও সেচ্ছাচারিতার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে কালো আইন বাতিলের দাবী জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন