হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় সত্যজিৎ দাশ হত্যা মামলায় অরবিন্দু দাশ (৩৩) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তার সম্পত্তি বিক্রি করে তা আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়।
বুধবার সকালে আসামির উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অরবিন্দু নবীগঞ্জ উপজেলার চৌকি গ্রামের মনিন্দ্র দাশের ছেলে। নিহত যুবক সত্যজিৎ বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের নকুল চন্দ্র দাশের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল হক চৌধুরী।
মামলার অভিযোগ, ২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে সত্যজিৎ গ্রামের মাঠে কির্ত্তণ শুনতে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গ্রামের শ্মশানঘাট সংলগ্ন ডোবা থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বোন অনিকা রাণী দাশ বাদী হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৩ জুন নয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তদন্ত চলাকালে গ্রেফতারকৃত অরবিন্দু দাশ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এতে সত্যজিতের কাছে পাওনা এক হাজার টাকা না দেয়ায় তিনি তাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অপর ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডিত আসামি সত্যজিৎ দাশসহ পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন। বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন