বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ২ চরমপন্থীর মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৪

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার, | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৩১ পিএম

গরুর হাটের টেন্ডারবাজী এবং একটি স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুরে দেহ থেকে মাথা বিছিন্ন করে হত্যার ঘটনায় সজিব বিশ্বাস এবং রফিকুল ইসলাম নামের দুই চরমপন্থীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও অন্য চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই ঘোষণা করেন। রায় ঘোষনার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জমির জোয়াদ্দার নামের এক আসামি পলাতক আছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সজিব বিশ্বাস কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের আদিল উদ্দিনের ছেলে। রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত জানে আলীর ছেলে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জমির জোয়াদ্দার কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ইবি থানার কমিরপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ জোয়াদ্দারের ছেলে, সদর উদ্দিন বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী মণ্ডলের ছেলে আনিচুর রহমান একই এলাকার আব্দল আজিজের ছেলে, এবং সুমন আলী মো: দিদার আলীর ছেলে।

কুষ্টিয়া জজ আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং এহাজার সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য গরুর হাটের টেন্ডারবাজী এবং একটি স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ২০১৬ সালে ১ জানুয়ারি গভীর রাতে ফিরোজ মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে আলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনার পরের দিন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ চরমপন্থী দল পূর্ববাংলা কমিউনিস্টের নেতা রফিকুল এবং সজিবকে গ্রেফতার করলে তারা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ মোল্লাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এবং এ
ঘটনায় জড়িত সকলের নাম ও পুলিশের কাছে জানিয়ে দেন। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরে কড়া পুলিশি পাহারায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন