জেলার মুকসুদপুরে বিবেক শাখারী হত্যা মামলায় মহানন্দ তালুকদার (৪৯) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সেই সাথে আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।মামলার অপর ৩ আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এ সময় আসামীরা আদালতে অনুপস্থিত ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মহানন্দ তালুকদার গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের পঞ্চানন তালুকদারের ছেলে।
বেকসুর খালাস প্রাপ্তরা হচ্ছে- মহানন্দ তালুকদারের ভাই আনন্দ তালুকদার, স্ত্রী মেনুকা তালুকদার ও সহযোগি স্বপন মৃধা।
মামলার নথি সূত্রে জানাগেছে, ২০০৮ সালের ২৯ মে বিবেক শাখারীর স্ত্রী শিবানী রানী শাখারী একটি এনজিও থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে স্বামীর হাতে তুলে দেন। বিবেকের জুয়া খেলার অভ্যাস ছিল।তার জুয়া খেলার সঙ্গী মহানন্দ তালুকদারসহ অন্যরা জানতে পারে বিবেকের কাছে ১০ হাজার টাকা রয়েছে।তারা এই টাকা ছিনিয়ে নিতে বিবেককে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়।
পরে তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ একটি পাট ক্ষেতে ফেলে রাখে। পরের দিন ৩০ মে পুলিশ বিবেকের লাশ ওই পাট ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বিনয় শাখারী বাদী হয়ে ৩০ মে মহানন্দ তালুকদারসহ ৪ জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম পাটোয়ারী ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর ৪ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে বিচারক মহানন্দ তালুকদারকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান ও আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট শওকত আলী শিকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন