রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে শুকরিয়া প্রকাশ করছি। তবে তারেক রহমানের যাবজ্জীবন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা- সে বিষয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গণে এ সব কথা বলেন তিনি। মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তাজউদ্দিন আবদুস সালাম পিন্টু একত্রিত হয়ে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছিলো। যার জন্য এ মামলায় ১২টি পয়েন্টে ডিসকাশন করে ১৯জন আসামিকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তারেকসহ ১৯জনকে যাবজ্জীবন দন্ড দেয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হাওয়া ভবন সম্পর্কে মামলার পর্যবেক্ষণে এসেছে এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে তারেক রহমান এ ঘটনার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। এটি একটি ফাইন্ডিংসের মধ্যে এসেছে। আইনের আশ্রয়ে আসামিরা এ ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়ন করতে কাজ করেছে।
তিনি আরো বলেন, পশ্চিম মেরুল বাড্ডায় হামলার কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছিলো কিনা, রুহুল আমিনের বাড়িতে কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছিলো কিনা, তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা, ১৮ আগস্ট পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেনেড প্রাপ্তি ও অর্থ এবং প্রশাসনিক সহায়তা, মুফতি আবদুস সাত্তার এবং আবদুস সালাম পিন্টু তাজউদ্দিন ১৫টি গ্রেনেড সরবারাহ করেছে কিনা, অভিযুক্ত আসামিরা ষড়যন্ত্র করেছে কিনা, ব্লক ৩, সেকশন ৮ এ এই আসামিরা মাওলানা আবু তাহের পিন্টু ষড়যন্ত্র করেছে কিনা, মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ রোডে ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা, আবদুল খালেকের বাসা হাওয়া ভবনে কেন্দ্রবিন্দু ছিলো কিনা, একই স্থানে এ ঘটনা ঘটানোর জন্য তারেক রহমান জঙ্গিদের সঙ্গে মিটিং করেছেন কিনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ডিসকাশন হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন