খাদ্য উৎপাদনে পালন করা পশু থেকে যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয় তা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখা অন্যতম একটি বড় উৎস। তাই, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, বিশ্বের কৃষি ব্যবস্থার সংরক্ষণ ও খাদ্য উৎপাদন স্থিতিশীল রাখতে কমাতে হবে মাংস ও অন্যান্য প্রাণীজাত খাদ্যের ব্যবহার। এর বদলে গুরুত্ব দিতে হবে বাদাম, বীজ, ডালের মতো নিরামিষের ওপর। ‘নেচার’ সাময়িকীটিতে প্রকাশিত নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে। খবর দি গার্ডিয়ান।
সাময়িকীতে লেখা হয়েছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়তে দিতে না চাইলে পশ্চিমা দেশগুলোতে গরুর মাংস খাওয়া কমাতে হবে ৯০ শতাংশ। দুধ খাওয়া কমাতে হবে ৬০ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে খাদ্য হিসেবে শুকরের মাংসের ব্যবহার কমাতে হবে ৯০ শতাংশ। ডিম খাওয়া কমাতে হবে ৫০ শতাংশ। এর বদলে শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে পাঁচ গুণ।
এতে বলা হয়েছে, খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে এমনিতেই জলবায়ুর অনেক ক্ষতি হয়।বিশ্বের বেশ কিছু সমুদ্রাঞ্চলে অক্সিজেন স্বল্পতা এমন অবস্থায় এসে পৌঁছেছে যে সেখানে মাছসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীদের বেঁচে থাকা অসম্ভব।
‘নেচার’ সাময়িকীর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনই যদি পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ আরও ২৩০ কোটি মানুষ বাড়লে অবস্থা হবে সঙ্গিন, কারণ সে সময় আয় বাড়বে তিনগুণ। স্বাভাবিকভাবেই মাংসের চাহিদাও বাড়বে। তাই এখন থেকেই নিরামিষ খাদ্যের ওপর গুরুত্ব আরোপের তাগাদা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখাতে যা করণীয় তা বাস্তবায়ন করতে হবে আগামী অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই। নইলে খরা, বন্যা, দুর্ভিক্ষ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হবে জীবন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন