ফররুখ ছিলেন নির্যাতিত মানবতার মুক্তির কবি। এই মুক্তির সন্ধান তিনি পেয়েছিলেন সাম্য ভ্রাতৃত্বের আদর্শ ইসলামের মধ্যে। প্রথম জীবনে কমিউনিজমের আদর্শে বিশ্বাসী এই কবি পরবর্তী কালে ইসলামের মধ্যেই প্রকৃত সাম্য-ভ্রাতৃত্বের সন্ধান পান।
গত শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর কার্যালয় জাতীয় জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তমদ্দুন মজলিস আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, সাধারনত কবিদের কথা ও কাজের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু এ ব্যাপারে ফররুখ আহমদ ছিলেন একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্ব। আদর্শের প্রশ্নে কখনো তিনি আপোষ করেননি।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলা কাব্যের বিভিন্ন শাখায় তার স্বচ্ছন্দ পদচারনা ছিল। গীতি কবিতা, ছড়া, ছাড়াও কাব্যনাট্য, মহাকাব্য, সনেট, ব্যঙ্গ কবিতা, গদ্য কবিতা, শিশুতোষ কবিতায় তিনি অনন্য সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। বাংলার সাহিত্যাকাশে তাঁর লেখনী উজ্জল নক্ষত্রের ন্যায় জ্বলজ্বল করছে।
তমদ্দুন মজলিসের সিনিয়র নেতা এরতাজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ভাষা সৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক কবি আবদুল মুকীত চৌধুরীর, এমদাদুল হক চৌধুরী, কবি এস আই জনি, মোহাম্মদ তাওহিদ খান, হাফেজ বায়েজিদ হাসান, আবদুল্লাহ আল মামুন ও মুহাম্মদ সুজন মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ ও দোয়ায় কবির রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন