যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিপিএম পিপিএম মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বহুমুথী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। গত ২০ আগস্ট যশোরে যোগদানের পর প্রথমেই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেদিনই তিনি ঘোষণা করেন যশোর জেলা মাদকমুক্ত করা হবে। মাত্র ২মাসের ব্যবধানে এসপি মঈনুল হক মাদক, সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গি, সমাজবিরোধী, অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে অনেকটাই সফল হয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন।
গতকাল তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, মাদক সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমি জিরো টলারেন্সে কাজ করছি। তার কথা, সমাজ দেহকে ক্ষতবিক্ষত করা মাদক সন্ত্রাস শূন্যের কোঠায় আনতে লাগাতার অভিযান চলবে। প্রায় প্রতিদিনই মাদক ব্যবসায়ী, মাদক বহনকারী, সমাজবিরোধী, সন্ত্রাসী, অপরাধী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী আটক হচ্ছে। ডিবি, থানা, ফাঁড়ি, আইসি পুলিশের আটকের সংথ্যা দেড় শতাধিক। তিনি বলেন, জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে আমার নির্দেশ রয়েছে কারো কোন তদবিরে মাদক সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা কোনভাবেই যেন ছাড় না পায়। এসপি তার দায়িত্ব পালনকালে অল্পদিনে মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনেকটাই সফল হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, জেলার সবখানে সমানতালে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে। আমার বিশ্বাস জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সহযোগিতায় জেলা পুলিশ শান্তিপূর্ণ যশোর রুপায়নে কাজ করতে সক্ষম হবে।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, শুধু মাদক বিক্রেতা, ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, সমাজবিরোধী নয়, এসবের পৃষ্ঠপোষক গডফাদার, আশ্রয়দাতা যেই হোক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না। সূত্র জানায়, এসপির সময়কালে গত দুই মাসে ৩ জন তালিকাভুক্ত মাদক সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। মাদক উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ। সূত্র আরো জানায়, এসপি মঈনুল হক যশোরের মাটি থেকে মাদক নির্মূল করে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন