শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অপহৃত কিশোরীকে মাদকাসক্ত করে ইয়াবা বিক্রেতা বানানোর চেষ্টা!

র‌্যাবের অভিযানে ২ মহিলাসহ গ্রেফতার ৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

এক কিশোরীকে অপহরণ করে জিম্মি করে রাখা হয়। আর সেখানে তাকে জোর করে ইয়াবা আসক্ত করা হচ্ছিল। তাকে দিয়ে পরে মাদক ব্যবসা করানোই ছিল তাদের টার্গেট। এমন একটি চক্রের জিম্মি দশা থেকে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। পাকড়াও করা হয়েছে চক্রের দুই মহিলাসহ তিন সদস্যকে। উদ্ধার করা হয়েছে মাদকদ্রব্যও।
গতকাল ভোরে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী দৌলতপুর এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি টিম। সেখান থেকে অপহরণের সাথে জড়িত প্রধান আসামী মনির হোসেন, অপর দুই সহযোগী সকিনা আক্তার ফারজানা ও শিমুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বাসা থেকে তিন হাজার ৭৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। প্রধান আসামি মনির কুমিল্লার বাঙ্গুরা বাজার হায়দারাবাদ গ্রামের আবদুল হামিদের পুত্র। র‌্যাব জানায়, নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সে আর লেখাপড়া করেনি। আসামী মো. মনির হোসেন সম্পর্কে কিশোরীর মায়ের ভাগিনা হয়। সেই সুবাধে সে প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। গত কয়েক মাস পূর্বে মনির হোসেন তার তিনটি স্ত্রী থাকা সত্তে¡ও কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তার মা মনিরের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় এবং তার নাবালিকা মেয়ের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ কিংবা উত্যক্ত না করার জন্য নিষেধ করে। এতে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে যেকোনো সময় মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলে তার মাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুলাই ওই কিশোরী বাসা থেকে বের হলে মনির পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে ফুসলিয়ে একটি প্রাইভেটকারযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। কিশোরী সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় ফিরে না আসায় তার মা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেন। তাকে না পেয়ে ডবলমুরিং থানায় নিখোজ সংক্রান্তে একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন মনির হোসেন তার সহযোগী মো. রাকিবের সহায়তায় তার কন্যাকে অপহরণ করেছে। এরপর তিনি বাদি হয়ে একই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে র‌্যাব কিশোরীকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নামে।
র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করে আসামী মনির হোসেন তার সহযোগী মো. রাকিবের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের লোভ-লালসা ও মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে অসৎ উদ্দেশে অপহরণ করে। পরে কুমিল্লায় নিয়ে আসে এবং ওই ফ্লাটে আটকে রেখে মাদকাসক্ত করে মাদক পাচারের কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন