জার্মানির বাণিজ্য সংগঠনগুলো এবং পুলিশ ‘শপলিফ্টিং’ বা খদ্দেরের বেশে দোকান থেকে চুরি বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এর ফলে খুচরা বিক্রেতাদের কোটি কোটি ইউরো ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু চোররা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধরা পড়ছে না। খবর ডয়েশ্চ ভ্যালে।
অপরাধ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালে জার্মানিতে প্রায় চার লাখ ‘শপ লিফটিংয়ের’ ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি। জার্মানির বাণিজ্য সংস্থা এইচডিই মঙ্গলবার জানিয়েছে, “খদ্দেরের বেশে চুরি করা লোকদের মধ্যে শিশু, তরুণ, প্রাপ্তবয়স্ক, এমনকি পেনশনভোগীরাও রয়েছেন।”
শপ লিফ্টিংয়ের কারণে খুচরা বিক্রেতাদের বছরে গড়ে দুই দশমিক এক বিলিয়ন ইউরো আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইএইচআই জানিয়েছে, শপলিফটিংয়ের ৯৮ শতাংশ ঘটনাই অলক্ষ্যে থেকে যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞ ফ্রাংক হর্স্ট জানিয়েছেন, সাধারণ চোরেরা ছোট ছোট জিনিস চুরি করে যেগুলোর ম‚ল্য ৮০ ইউরোর বেশি নয়। পারফিউম, রেজার ব্লেড, কসমেটিকস এবং কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স চুরি হয় বেশি৷
তবে তিনি জানান, সংঘবদ্ধ চোরেরা দামি জিনিসও দোকান থেকে চুরি করে। হর্স্ট বলেন, “তারা দেড় হাজার থেকে দু’হাজার ইউরো দামের জিনিস নিয়ে আনায়াসে বেরিয়ে যায়। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, এরকম চুরির ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে।”
স্টেফেন হার্টেল বলেন, “একদল লোক দোকানে ঢোকে। তাদের একজন দোকানের সহকারিকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে ব্যস্ত রাখে আর বাকিরা যতটা সম্ভব জিনিস চুরি করে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ঘটে যায় পুরো ঘটনা।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন