বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজপথ উত্তপ্ত হলে কারো জন্য শোভন হবে না

মানববন্ধনে খন্দকার মাহবুব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

রাজপথ উত্তপ্ত হলে তা কারও জন্য শোভন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে একদিনের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার যতগুলো মামলা আছে সবগুলোতে জামিন দেয়া সম্ভব। আর এই মুহূর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে দেশে নির্বাচন করতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী আপনি জেনে রাখুন, বাংলাদেশের মানুষ যদি একবার জেগে ওঠে, তবে রাজপথ উত্তপ্ত হবে। তখন সেটা আমাদের কারও জন্য শোভন হবে না। গতকাল (শনিবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রম‚লক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ঐক্যফ্রন্টের যে সংলাপ, তার আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের যে দাবি তা মানুষের জন্য, সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার জন্য। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন সংবিধান, সংবিধান। আমিও বলছি বর্তমান সংবিধান অনির্বাচিত এমপি দিয়ে সংশোধিত করেছেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য। তবুও সংবিধানে ১২৩ নম্বর অনুচ্ছেদ দেখুন, সেখানে দুটি উপায়ে সংসদ নির্বাচন হতে পারে। সেখানে সংসদ শেষ হওয়ার পূর্বে ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হতে পারে। এরপরে সংসদ বাতিল হয়ে যাবে। জানুয়ারি মাসের পরে নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এতে আপনার কথাও থাকবে, আমাদের কথাও থাকবে। তখন সংসদ বহাল থাকবে না। সর্বজনস্বীকৃত একজনকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করে আপনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান। দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, মানুষ নির্ভয়ে তাদের নিজেদের ভোট নিজেরা দেবে।
বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের প্রবর্তনের জন্য আমরা করুণা চাচ্ছি না। আইন অনুযায়ী দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, মানুষ ভোটে দেবে। সেই ভোটেই তাদের মুক্তি হবে। এখানে আমি একটি কথাই বলতে চাই, সংসদ বাতিল করে নির্বাচনে আসুন এবং একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন পরিচালনা করুন। নতুবা দেশে যে অরাজকতার সৃষ্টি হবে সেটা আপনার জন্য ও জনগণের জন্য মঙ্গল হবে না।
এসময় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এড. জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর লুৎফর রহমান, ডিইউজের কাদের গণি চৌধুরী প্রমূখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন