ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘বন্ধু’ পরিচয়ে নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপিতে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইয়াসের খানের রঙিন ছবি সম্বলিত ওই পোষ্টারে লিখা রয়েছে “নান্দাইলের উন্নয়নে তারেক রহমানের বন্ধু তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞানী ইয়াসের খান চৌধুরীকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। প্রচারে- নান্দাইল উপজেলা, পৌর যুবদল ও ছাত্রদল।”
রবিবার সকালে এমন পোষ্টার স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নজরে আসলে দলীয় পরিমন্ডলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উপজেলা ছাপিঁয়ে বিষয়টি এখন স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির হাইকমান্ডে সমালোচনার ঝঁড় তোলেছে।
নান্দাইল পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র আজিজুল ইসলাম পিকুল বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে এমন অপপ্রচারের ঘটনায় ধিক্কার জানাই। তিনি দাবি করেন, আন্দোলনে মাঠের কর্মীদের মনোবল দূর্বল করার জন্যই এ পোষ্টার সাটানো হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
স্থানীয় ও জেলা বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ‘তারেক রহমানকে বন্ধু দাবি করে উপজেলাজুড়ে পোষ্টার যে বা যারা সাটিয়ে তারা দলের মঙ্গল কামনা করে না। দলের প্রতি অনুগত্যশীল কোন নেতার পক্ষে এ ধরনের কাজ করা কখনোই সম্ভব হতে পারে না। এ ঘটনার মধ্যে দিয়ে জনাব তারক রহমানকে হেয় করা হয়েছে।’
তবে তারেক রহমানের বন্ধু পরিচয়ে করা পোষ্টারটি তার নয় বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞানী ইয়াসের খান চৌধুরী। তিনি জানান, আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পোষ্টার করে নেতাকে অসম্মান করার মত মানুষ আমি নই। বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য আমি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতা কামনা করেছি। ইয়াসের খান দাবি করেন, স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে যাদের কোন অস্থিত্ব নাই। যারা আমাকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে পারছে না। প্রকৃত পক্ষে তারাই এ অপপ্রচার করে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি দলীয় হাইকমান্ডকে ইতিমধ্যে অবগত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
স্থানীয়রা জানায়, লন্ডন প্রবাসী বিবিসির তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞানী ইয়াসের খান চৌধুরী ময়মনসিং-৯ নান্দাইলের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল হোসেন খান চৌধুরীর পুত্র। এক সময় আনোয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী ময়মনসিংহ উত্তর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তবে ১৯৯৬ সালের পর রাজনীতির মাঠে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে বিগত কয়েক বছর ইয়াসের খান চৌধুরী লন্ডনে কর্মরত থাকলেও প্রতি বছর কয়েক বার এলাকায় এসে বিএনপির রাজনৈতিক সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সামাজিক কর্মকান্ড অংশ নিচ্ছেন। এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে এলাকায় সভা-সমাবেশ করে গণসংযোগ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন