কুমিল্লার প্রায় প্রতিটি হাটবাজারে ফায়ার সার্ভিস (বিস্ফোরক) অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই বেশকিছু দোকানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ বিক্রেতা আইন-কানুন না মেনে শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। ফলে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমিল্লা সদরসহ, চান্দিনা, দাউদকান্দি, বুড়িচং, ব্রাক্ষণপাড়া, দেবিদ্বার, মুরাড়নগর, বরুড়া উপজেলার বেশ কিছু বাজারে চায়ের দোকান, মুদি দোকান, ক্রোকারিজ ও কসমেটিকসের দোকানে খোলা অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার রাখার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ দোকানে অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এলপি গ্যাস ব্যবহার করতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীকে বাধ্যতামূলক বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার সংরক্ষণে রাখতে হবে। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, হাতেগোনা কিছু ব্যবসায়ীর লাইসেন্স থাকলেও অধিকাংশ ব্যবসায়ীর এলপি গ্যাস বিক্রির লাইসেন্স নেই।
এ ছাড়া দোকানগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার ছিটিয়ে ছড়িয়ে রাখায় যে কোনো সময়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এলপি গ্যাস বিক্রির নিয়ম-কানুন দোকান মালিক জানেন না। এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের কুমিল্লা এরিয়া পরিদর্শক মো. শামছুল আলম বলেন, কুমিল্লার অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স নেই। এ লাইসেন্স নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তাদের বলেও লাইসেন্স করানো যাচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন