নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ রাজনীতিক তোফাজ্জেল মাস্টারকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তার সাথে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে শিবপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ ও রায়পুরা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদকসহ আরো ১৬ নেতাকর্মীকে। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যা পূর্ব সময়ে নরসিংদী থানা পুলিশ বিনা মামলা বিনা ওয়ারেন্টে তাদেরকে চিনিশপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। কমবেশি ১৮ ঘন্টা আটক রেখে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার ও বিএনপির ১৬ নেতা-কর্মীকে কোর্টে চালান দেয়। বিকেল পর্যন্ত তাদেরকে কোর্ট গারদে আটকে রাখা হয়। কিন্তু পুলিশ এজাহারের কপি এবং আসামি গ্রেপ্তারের ফরওয়ার্ডিং পত্র না দেয়ায় বিএনপির আইনজীবীরা তাদের জামিনের আবেদন জানাতে পারেননি। আদালত আগামী সোমবার রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির তারিখ ধার্য করে বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার ও ১৬ জনকে নরসিংদী কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল বাসেত ভ‚ঁইয়া। জানা গেছে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে গত বুধবার বিকেলে চিনিশপুরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। আলোচনা চলাকালে নরসিংদী থানা পুলিশ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে সভাস্থলের দিকে যাত্রা করে। তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে শিবপুরের দিকে রওনা হয়। এ সময় নরসিংদী থানা পুলিশ তাদেরকে ঘেরাও করে তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার ও ১৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তোফাজ্জল হোসেন মাস্টারকে কোর্টে চালান দেয়ার খবর প্রচারিত হবার পর বিএনপির শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থক কোর্টের বাইরে এলাকায় অবস্থান নেয়। এদিকে তোফাজ্জল হোসেন মাস্টারকে গ্রেপ্তার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মঞ্জুর এলাহী, শিবপুর থানা বিএনপি সভাপতি আবুল হারিছ রিকাবদার, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক, নরসিংদী শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম কবির কামাল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন