তৈরি পোশাক রপ্তানি বাণিজ্যে সম্ভাবনাময় বা বড় খাত এখন জিনস পোশাক বা ডেনিম। আর তাই বিদেশী ক্রেতা আকর্ষণে দুই দিনব্যাপি জিনস বা ডেনিম কাপড়ের প্রদর্শনী শেষ হয়েছে। গত শুক্রবার শেষ হয় এবারের আন্তর্জাতিক এই আয়োজন। আয়োজকরা বলেন, প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিদেশী ক্রেতা আকর্ষণই মূল লক্ষ্য। তাদের হিসাবে, ব্যাপক সাড়া মিলেছে এবারের প্রদর্শনী। যা চলমান থাকলে বাংলাদেশী পণ্য দিয়েই সম্ভব হবে বিশ্ববাজারের বড় অংশ দখল করা।
নানা সীমাবদ্ধতা স্বত্তেও গুনগত মান আর সক্ষমতা বাড়ায় বিদেশী ক্রেতা ও আমদানিকারকদের দৃষ্টিও তাই এখন বাংলাদেশের দিকেই। আর এ সম্ভাবনা বিশ্বময় পৌছে দিতে নবমমবারের মত আয়োজন করা হয় ডেনিম প্রদর্শনী।
যাতে অংশ নেয় চীন, জার্মানি, ইতালি, জাপান সহ মোট ১২ দেশের ৬৩ টি প্রতিষ্ঠান। এক ছাদের নিচে বাহারি সব ডেনিম ক্রেতা ও আমদানিকারকদের বাড়তি মনোযোগ আকর্ষণ করবে এমন দাবি অংশগ্রহণকারীদের। তাৎক্ষণিকভাবে ক্রয়াদেশ না মিললেও ভাল সাড়া মিলবে এমন আশা প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর।
একসাথে ১২ দেশের ডেনিম পণ্য। তাই পরিদর্শনে আসা দর্শনার্থীরা এ প্রদর্শনীকে দেখছেন তাদের পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা হিসেবেই। এ প্রদর্শনী বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী ডেনিম পণ্যের অংশগ্রহণ আরো শক্তিশালী করবে এমন দাবি আয়োজকদের।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, এক্সপো’র মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক ডেনিম সম্প্রদায়ের চাহিদাসমূহ পূরণ করা। পাশাপাশি দেশের ডেনিম পণ্যসমূহ সম্পর্কে বিশ্বকে জানানো, নতুন ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করা এবং ডেনিমের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনসমূহ সম্বন্ধে জ্ঞান আহোর করার সুযোগ সৃষ্টি করাও ডেনিম এক্সপোর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব ডেনিম বাজারে সিমপ্লিসিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয়। তাই আমরা বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর এবারের আসরে ডেনিম শিল্পে ‘টেকসই ও ইকোলজি’ তথা পরিবেশবান্ধব উৎপাদনের বিভিন্ন বিষয়সমূহ যতটা সম্ভব সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন