চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এসআই সাদিকুল ইসলাম ও সার্জেন্ট আতাউল ইসলাম হত্যার আসামি সিরাজ মল্লিককে অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ আটক করেছে র্যাব। এ সময় তার এক সহযোগিকে আটক করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের ধোপপুকুর নামক এলাকা থেকে অস্ত্র-গুলি ও ফেনসিডিলসহ আন্তঃজেলার শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। আটকরা হল- ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার অনুরাগ গ্রামের মৃত আব্দুল আওয়াল মল্লিকের ছেলে সিরাজুল মল্লিক @ সিরাজ (৪০) ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার রামারবাগ গ্রামের আবদুল মোতালেব মাতব্বরের ছেলে মনির হোসেন (৩৬)। র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোর সোয়া চারটার দিকে উপজেলার ধোপপুকুর নামক এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি ট্রাককে র্যাবের সদস্যরা থামার সংকেত দিলে আন্তঃজেলার শীর্ষ ওই মাদক ব্যবসায়ীরা সংকেত অমান্য করে র্যাব সদস্যদের পাশ দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ট্রাকটি সরাসরি একটি আম গাছে গিয়ে আঘাত করে দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে আন্ত: জেলার শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী সিরাজ ও মনিরকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা। এ সময় ঢাকা মেট্টো-ট ২২-০৭৯৭ ট্রাকের কেবিন থাকা ৫০৬ বোতল ফেনসিডিল, দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি ও মাদক বিক্রয়ের ত্রিশ হাজার টাকা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এরআগে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ ট্রাকে করে মাদক বহনের সময় শিবগঞ্জ থানার এসআই সাদিকুল ইসলাম, সার্জেন্ট আতাউল ইসলাম ধাওয়া করে ট্রাকের সামনে মোটরসাইকেল সহকারে বেরিকেড স্থাপন করলে আন্তঃজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সিরাজ মল্লিক তাদের দুইজনকে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এসআই সাদিকুল ইসলাম ও সার্জেন্ট আতাউল মারা যান। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা নম্বর ০৭, তারিখ ০৩-০৩-২০১৬, ধারা-৩০২/৩৪ দায়ের হয়। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওই ঘটনায় সেদিন সিরাজ মল্লিক গ্রেফতার করে ৩০ মাস কারাগারে থাকার পর চলতি বছরের ২০ অক্টোবর জামিনে মুক্ত পেয়ে আবারও মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা শুরু করে। এছাড়া র্যাব তাকে আটকের সময় সে আবারও পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন