উত্তর : আপনি ধৈর্য ধারণ করুন। শত কষ্ট হলেও তাকে ক্ষমা করতে থাকুন। আপনার বোনকেও বোঝান। তাকে কষ্ট সহ্য করতে সাহস যোগান। ধৈর্য ধরার উপদেশ দিতে থাকুন। আপনাদের অনেক সওয়াব হবে। জীবনের বহু গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভ করবেন। যিনি উপকার করে পরে খোঁটা দেন, তিনি ইসলামী জীবন বোধের সাথে পরিচিত নন। এটা তার জ্ঞান ও সংস্কৃতির অভাব। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘প্রকৃত মুমিন তারা, যারা মানুষকে উপকারের পর আর খোঁটা দেয় না।’ অন্য আয়াতে আছে, ‘উপকার করে খোঁটা দিলে উপকারের সওয়াব নষ্ট হয়ে যায়।’ হাদিস শরিফে মহানবী সা. বলেছেন, ‘আল্লাহর নিকট অপছন্দনীয় লোকেদের মধ্যে উপকার করে খোঁটা দানকারীও একজন।’ আপনার বোনজামাইকে শান্তভাবে কেউ বোঝাবার চেষ্টা করুক, সম্ভব হলে তিনি আল্লাহ ওয়ালা আলেম ও পীর-মাশায়েখদের সান্নিধ্যে আসা যাওয়া করুক, এতে তার মধ্যে ইসলামী জ্ঞান সংস্কৃতি ও চরিত্র এসে যাবে। সর্বোপরি আপনারা তার মনের পরিবর্তনের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে মন লাগিয়ে দোয়া করুন। পরিবর্তন অবশ্যই আসবে। কেননা, আল্লাহর নবী বলেছেন, দোয়া হলো ঈমানদারের অঙ্গ।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন