শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লাইফ সাপোর্টে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

গুণী নির্মাতা, চিত্রনাট্য ও কাহিনীকার, অভিনেতা ও পরিচালক আমজাদ হোসেন লাইফ সাপোর্টে আছেন। রোববার সকালে হাঠাৎ করেই ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও তার শারিরিক পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমজাদ হোসেনের ব্রেনের বাম অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে করে শরীরে কি কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তা ৩৬ ঘণ্টা পর জানা যাবে।
আমজাদ হোসেনের ছেলে অভিনেতা সোহেল আরমান জানান, তার বাবা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তিনি বলেন, আমি যখন বুঝতে পেরেছি যে আব্বা হাত পা নাড়তে পারছিলেন না। তখনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার তখন জানালেন যে আব্বা ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন। আব্বার শারীরিক অবস্থা ভালো না। যে কারণে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে।
আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল সাংবাদিকদের বলেন, সকালে হঠাৎ করেই ব্রেন স্ট্রোক করেছেন তিনি। তাকে প্রথমে আইসিউতে ভর্তি করা হয়। পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন ৩৬ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আমজাদ হোসেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ই আগস্ট, জামালপুরে। শৈশব থেকেই তার সাহিত্য চর্চা শুরু। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন। মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি অভিনয় শুরু করেন। এর পরপরই অভিনয় করেন মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে। তবে এর পরের ইতিহাসটা একেবারেই অন্যরকম। পরিচালক সালাহউদ্দিন আমজাদ হোসেনের লেখা নাটক ‘ধারাপাত’ নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এতে আমজাদ হোসেন নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। এরপর আমজাদ হোসেন জহির রায়হানের ইউনিটে কাজ শুরু করেন। এভাবেই দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেই ‘জুলেখা’ নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এরপর নূরুল হক বাচ্চুর সঙ্গে যৌথভাবে নির্মাণ করেন ‘দুই ভাই’। তার পরিচালিত ব্যাপক দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে বাল্যবন্ধু, পিতাপুত্র, এই নিয়ে পৃথিবী, বাংলার মুখ, নয়নমনি, গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই, জন্ম থেকে জ্বলছি, দুই পয়সার আলতা, সখিনার যুদ্ধ, ভাত দে, হীরামতি, প্রাণের মানুষ,সুন্দরী বধূ, কাল সকালে, গোলাপী এখন ঢাকায়, গোলাপী এখন বিলেতে ইত্যাদি। গুণী এই পরিচালক ১৯৭৮ সালে গোলাপী এখন ট্রেনে এবং ১৯৮৪ সালে ভাত দে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন