একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের নির্বাচনী মাঠে নেই বিএনপি নেতাকর্মীরা। এমনকি বিগত দিনে দলীয় কোন কর্মসূচীতেও তাদের দেখা মিলেনি।
ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনটিকে একসময় বিএনপির ঘাটি বলা হতো। সেই ঘাটি এখন নেই। দলের মধ্যেও রয়েছে অভ্যন্তরীন কোন্দল।
নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে চলে যায়। আসন্ন নির্বাচনেও এআসনটি আওয়ামীলীগের দখলে থাকবে বলে অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
একাধিক নেতা-কর্মীরা দাবী করেছে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন নাশকতা মামলার আসামী হওয়ায় গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই তারা নির্বাচনী মাঠে নেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে ৫জন মনোনয়ন নিয়েছেন। কিন্তু তাদের কাউকেই মাঠে দেখা যায়নি। ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবুকে এবারও দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে এমনটি শুনা গেলেও গত ১০বছরেও তাকে এলাকায় দেখেনি সাভার বাসী। তাই এবারও সে এ আসনটি হারাতে পারেন এমনটি মনে করছেন বিএনপি সমর্থনকারী অনেকেই।
তবে কথা বলতে সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবুর সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশন কোনো দায়িত্ব পালন করছে না: মির্জা ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন কমিশন কোনো দায়িত্ব পালন করছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের যে দায়িত্ব রয়েছে তার কোনোটিই পালন করছেন না তারা। তফসিল ঘোষণার পরও বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জামিন নিতে গেলে তাদের জামিনও দেয়া হচ্ছে না। সকল দলের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু তারা এর কোনো দায়িত্ব পালন করছে না।
মঙ্গলবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগে আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখেছি পুলিশকে ব্যবহার করে নির্বাচনে কারচুপির করা হয়েছে। এবার জাতীয় নির্বাচনেও সেই রকম পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পুলিশ হেড কোয়ার্টারে বসে এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছিলাম বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি করতে হবে। অথবা তাদের ক্লোজ করতে হবে। কিন্তু তা করেনি।
তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ঠ। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ করা না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। আশা করব নির্বাচন কমিশনের বোধদয় হবে। তারা জেগে উঠবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ প্রশাসন চাই। নির্বাচনের দশদিন আগে থেকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন