ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। এ উপলক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তার একমাত্র পুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।
মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি রয়েছে- বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আজিমপুরে কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, দুপুর ১২টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলসহ ২ সপ্তাহব্যাপী মেয়র হানিফ স্বাস্থ্যসেবা পক্ষ (বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান) প্রভৃতি। এ ছাড়াও বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজন করেছে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ এতে উপস্থিত থাকবেন।
১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ৬২ বছর বয়সে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এ সময় ছয় দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধে তার বলিষ্ঠ ভ‚মিকা ছিল। তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৬ সালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের ট্রাক মঞ্চে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে মানবঢাল রচনা করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে রক্ষা পেলেও স্পি্ন্টারের আঘাতে মারাত্মক আহত হন তিনি। মাথায় বিদ্ধ স্প্রিন্টারের প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন