নন হজকিনস্ লিম্ফোমা হল লিম্ফয়েড টিস্যুর ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যার কারণে মুখের আলসার দেখা দিতে পারে। নন হজকিনস্ লিম্ফোমাকে নন হজকিন লিম্ফোমাও বলা হয়ে থাকে। সহজ কথায় নন হজকিন লিম্ফোমা একটি ক্যান্সার যা শুরু হয় লিম্ফোসাইট নামক সেল বা কোষ থেকে। লিম্ফোসাইট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ। এইচ,আই,ভি পজিটিভ ব্যক্তিদের নন হজকিন লিম্ফোমা হতে পারে। লিম্ফোসাইট প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। ই লিম্ফোসাইট এবং ঞ লিম্ফোসাইট। উভয় ধরনের লিম্ফোসাইট থেকে লিম্ফোমা হতে পারে। কিন্তু ই লিম্ফোমা অনেক বেশি হয়ে থাকে।
উপসর্গ ঃ
নন হজকিন লিম্ফোমার ক্ষেত্রে ব্যাথাযুক্ত অবস্থায় সারভাইকাল লিম্ফনোডগুলো বড় হয়ে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় রোগীরা এ বর্ননা বা অভিযোগ করে থাকেন। ক) মুখের অভ্যন্তরে আলসার বা ঘাঁ এবং মুখ ফুলে যেতে পারে। খ) চোয়াল খোলার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। গ) মুখের সংক্রমন- বিশেষ করে ভাইরাস এবং ফাংগাসের কারণে ঘ) সাইটোটক্সিক বা কোষ বিনাশকারী ওষুধের কারণে মিউকোসাইটিস বা মুখের আলসার। ঙ) এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা। চ) কর্টিকোস্টেরয়েড থেরাপীর কারণে মুখের সমস্যা। ছ) মুখের অভ্যন্তরে সামান্য আঘাতে রক্তপাতের সম্ভাবনা। ঞ) একিউট লিউকেমিয়া ঃ চিকিৎসা প্রাপ্তদের শতকরা ৭ ভাগের ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে।
সিস্টেমিক উপসর্গ ঃ
ক) জ্বর। খ) রাতে ঘাম দেওয়া। গ) ওজন কমে যাওয়া।
অন্যান্য উপসর্গ ঃ
ক) খাওয়ায় অরুচি। খ) দুর্বলতা। গ) শ্বাসকষ্ট। ঘ) চুলকানি।
এইচ.আই.ভি পজিটিভ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নন হজকিন লিম্ফোমা ছাড়া এনজিওসারকোমা, মেলানোমা এবং কমক্ষেত্রে স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা বা ক্যান্সার হতে পারে।
অতএব, নন হজকিন লিম্ফোমা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং মুখের অভ্যন্তরে আলসার বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে দ্রæত সমাধান করতে হবে, যাতে রোগী খাদ্যদ্রব্য গ্রহণের সময় কোন সমস্যা না হয়। এইচ.আইভি পজিটিভ ব্যক্তিদের প্রতি কোনো অবহেলা না করে সামাজিকভাবে তাদের সহযোগিতা প্রদান করতে হবে যাতে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। একটু ভালোবাসাই পারে পুরো জীবনটাকে সুন্দরময় করে গড়ে তুলতে।
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ।
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল dr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন