সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

মুখের ও শরীরের কিছু টিউমার

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

হেমানজিওমা ঃ হেমানজিওমা রক্তনালীর বিনাইন অর্থাৎ নন ক্যান্সারাস টিউমার। হেমানজিওমা শরীরের যে কোনো স্থানে হতে পারে। কিন্তু হেমানজিওমা চোয়াল, মাঢ়ি এবং জিহবার আশে-পাশে বেশি দেখা যায়। দেখতে লাল বা বেগুনি রঙের হয়ে থাকে। হেমানজিওমা নরম প্রকৃতি বিশিষ্ট এবং চাপ প্রদান করলে ক্ষুদ্র হয়ে মিলিয়ে যায় আর চাপ ছেড়ে দিলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। হিমানজিওমা দীর্ঘদিন একই অবস্থায় থাকতে পারে। ইনফেনটাইল হেমানজিওমার ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন নাই যেহেতু এটি সময়ের সাথে সাথে চলে যায়। মাঢ়িতে হেমানজিওমা থাকলে অনেক সময় দাঁত নড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেরিওডন্টাইটিস মনে করে দাঁত ফেলে দিলে বিপদ হতে পারে। সমস্যা হলো আমাদের দেশের রোগীরা ডাক্তারের কাছে এসে দাঁত ফেলে দিতে বলে যখন দাঁত নড়তে থাকে। এসব ক্ষেত্রে যথাযথ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে করনীয় সম্পর্কে।

সারকোমা ঃ সারকোমা এব ধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা মেসেনকাইমাল টিস্যু থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে। সাধারণত ১৫-৩০ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। সারকোমা শরীরের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে। রক্তের মাধ্যমে দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিকটবর্তী গ্ল্যান্ডে মেটাসটেসিস হয়ে থাকে। আক্রান্ত জায়গার সাথে সম্পর্ক রেখে নামকরণ করা হয়। যেমন-ফাইব্রোসারকোমা, অষ্টিওসারকোমা এবং লাইপোসারকোমা ইত্যাদি। সাধারণত সারকোমার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি এবং সার্জারীর মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ অষ্টিওসারকোমা চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেমোথেরাপির পাশাপাশি টিউমার অপসারণ করার জন্য সার্জারী করা হয়। তবে কেমোথেরাপির আগে সার্জারী করা হবে নাকি কেমোথেরাপির পরে করা হবে তা নির্ভর করে ক্যান্সারের গতি প্রকৃতির উপর।

ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ dr.faruqu@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন