শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চাঁদপুরে স্ত্রী-সন্তানদের খুন করে আত্মহত্যা

বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

চাঁদপুর সদর উপজেলার দেবপুর গ্রামে স্ত্রী ও দু’ সন্তান হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে স্বামী মাঈন উদ্দিন(২৭)। খবর পেয়ে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ঐ বাড়ি ঘিরে রেখেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে ১৬ ডিসেম্বর রোববার দিবাগত ভোররাত আনুমানিক ৪ টায়। ঘাতক মাঈন উদ্দিন নিজে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার আগে তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে ফারজানা, ১ বছর বয়সী ছেলে সিয়মকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধে এবং স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে(২২) জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে, বাড়ির পাশের ডোবায় পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। একইসাথে ডোবার পানিতে বাশেঁর সাথে বেধে রাখে। পারিবারিক কলহের কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাসিম উদ্দিন ও রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটোয়ারী।
ঘটনাস্থলে থাকা চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুন জানান, স্থানীয় দেবপুর গ্রামের হাফেজ তোহা সাহেবের বাড়ির মৃত মিয়াজান সর্দারের ছেলে মাঈন উদ্দিন চট্টগ্রামে একটি বেকারীতে কাজ করতো। কয়েকদিন আগে সে বাড়িতে আসে। দু’দিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তানদের জোরপূর্বক বাড়িতে আনে। নিহত ফাতেমা বেগমের বাবার বাড়ি পার্শ¦বর্তী শাহমাহমুদ ইউনিয়নের করবন্দ গ্রামে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ভোররাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মাঈন উদ্দিন তার নিজ আইডি থেকে একটি ভিডিও আপলোড করে। ঐ ভিডিওতে দেখা যায় মাঈন উদ্দিন তার ছেলেকে কোলে নিয়ে বাড়ির কবরস্থান পরিস্কার করছে। একই সাথে গান গাইছে ‘আমিতো মরে যাবো, রেখে যাবো সবই’। তাদের ৪ জনের মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়, তাদের লাশ যেনো পোস্টমর্টেম করা না হয়। এছাড়া তার বাবার কবরের পাশে যেনো তাদের দাফন করা হয়। মাঈন উদ্দিনের প্রবাসী এক ভাই ভোররাতে ঐ ভিডিও দেখে তার বৃদ্ধা মাকে ফোন করে তাদের ঘরে যাবার কথা বলেন। তার মা দ্রæত গিয়ে দেখেন মাঈন উদ্দিন ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, মাঈন উদ্দিনের সাথে তার স্ত্রীর পারিবারিক কলহ ছিলো। স্ত্রী ফাতেমাকে সে ছুরি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করতে চেয়েছিল। এ কারনে এবার সে বাবার বাড়ি থেকে আসতে চায়নি। দু’দিন আগে তাকে জোরপূর্বক নিয়ে আসে এবং নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ঘটায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন