বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

কর ফাঁকি উদ্ঘাটনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

করফাঁকি উদ্ঘাটন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেশের ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছে না। কর ফাঁকি অনুসন্ধানে করদাতাদের তথ্য চাওয়া হলে কোনও কোনও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এনবিআরকে অসম্পূর্ণ ও আংশিক তথ্য দিচ্ছে। এতে কর ফাঁকি উদ্ঘাটন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি তুলে ধরে গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে চিঠি দিয়েছে এনবিআর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মিথ্যা কিংবা আংশিক তথ্য দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, রাজস্ব আয় বাড়ানোর স্বার্থে যথাযথ তথ্য দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে গভর্নরের হস্তক্ষেপ চেয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪-এর ১১৩ ধারা অনুযায়ী, কর ফাঁকি উদ্ঘাটনে করদাতাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অসম্পূর্ণ ও আংশিক তথ্য দিচ্ছে। এতে কর ফাঁকি উদ্ঘাটন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে এনবিআরের আয়কর নীতি শাখা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করে এই কর্মকর্তা বলেন, আইন অনুযায়ী করদাতাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য এনবিআরকে দিতে ব্যাংকগুলো বাধ্য। এক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য গোপন করা কিংবা আংশিক তথ্য দেওয়া বা মিথ্যা তথ্য প্রদর্শন, বা কর ফাঁকি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানও মনে করেন, এনবিআর যে কোনও ধরনের তথ্য চাইলে তা দিতে ব্যাংকগুলো বাধ্য। তাদের (এনবিআরের) চাহিদা মতো তথ্য ব্যাংকগুলোর সরবরাহের কথা। তিনি বলেন, তথ্য গোপন করার কোনও ধরনের সুযোগও নেই ব্যাংকগুলোর। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান হয়তো সময়মতো তথ্য দিচ্ছে না। এ কারণে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন