গত এক সপ্তাহে রাজশাহীর তানোরে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ৪টি মামলা দেয়া হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৫০ নেতাকর্মীকে। ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও নাম রয়েছে মামলায়।
মামলা পরপরই ধরপাকড় শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাতে নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকছেন না, দিনের বেলাও থাকছেন পর্দার আড়ালে। আর মামলা দায়েরের পর পুলিশ এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ করছে, চালাচ্ছে তল্লাশিও। এই অবস্থায় মামলা আতঙ্ক বিরাজ করছে তানোর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ- নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হয়রানি করতেই এসব ‘গায়েবি’ মামলা দেয়া হচ্ছে। অথচ মামলায় যেসব ঘটনা ও দিন উল্লেখ্য করা হয়েছে। সেসব দিনে অনেক নেতাই তানোরে ছিলেন না। তারা থানার বাইরে ছিলেন।
তানোর থানা বিএনপি”র সাধালন সম্পাদক ও তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, আমিসহ আমার নেতাকর্মীদেরন নামে ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে সব মামলার কাহিনীই মিথ্যা। কোনো ঘটনা ঘটেনি। মামলা দায়েরের পর পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। এতে করে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ফেরারি জীবনযাপন করছে। তবে মামলা দিয়ে ধানের শীষের গনজোয়ার ও দমিয়ে রাখা যাবে না। এবার ধানের শীষের প্রার্তীর বিজয় হবে ইনশাআল্øাহ।
বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, প্রায় সবকটি ইউনিটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে মামলায়। এসব মামলা এবং পুলিশের অভিযানের প্রেক্ষিতে পাড়াভিত্তিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।’ কেউ কেউ হজে থেকেও মামলার আসামি হয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।
থানা বিএনপি”র সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী, তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুর রহমানকে ও জাহাঙ্গীর রহমানসহ তানোর থানার মামলায় শীর্ষ ব্যক্তিদের আসামি হয়েছেন। এ ছাড়া পাশাপাশি ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দওআসামী করা হয়েছে।
এদিকে আটক যুবদল নেতা জিল্লুর রহমান ও জাহাঙ্গীর রহমানকে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) তানোর চিফজুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল মাহমুদের আদালতে হাজির করে যেন তাদের জামিন না হয়, সেজন্য তাদের নামে ২টি আরো গায়েবী মামলা দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন