সেনা টহলের প্রথম দিনেই শেরপুর-১ সদর আসনের ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি’র প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকার গাড়ির বহরে ভাংচুর চালিয়ে অন্তত ১৫ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ করেছে বিএনপি প্রার্থী ডা. সনিসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। তিনি সাংবাদিকদের জানায়, আজ ২৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে সদর উপজেলা ঘুঘুরাকান্দি এলাকায় নিজের একটি পাজারো গাড়িতে তার মাসহ অন্যান্য আত্মিয়-স্বজন ও দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগরে অংশ হিসেবে বের হয়।
বেলা সন্ধার দিকে ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে পৌছলে সেখানের আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা গণসংযোগে বাঁধা দিয়ে গাড়ির বহরটি ফিরিয়ে দেয়। এসময় তারা শান্তিপূর্ন ভাবে গাড়িটি ঘুরিয়ে আসার সময় পেছন থেকে লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ি পেছনের ও দুই পার্শ্বের কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে এবং গাড়িতে বসা লোকজনের উপর হামলা করে।
এতে প্রার্থীর খালা ও ভাইসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পরে প্রার্থী গাড়িটি নিয়ে শহরে ফিরে এসে বিষয়টি জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুবের কার্যালয়ে দেখা করতে চাইলে প্রথমে তাকে রিটানিং কর্মকর্তা দেখা করতে না চাইলে তার দরজার সামনে বসে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান নেয় ডা. প্রিয়াংকা। এক পর্যায়ে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে রিটানিং কর্মকর্তার সাক্ষাত দেন।
এদিকে কার্যালয়ের নিচে উত্তেজিত নেতা-কর্মী ও আত্মিয়রা ক্ষোভ জানালে সেখানে অবস্থানরত আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর পুলিশ সদস্যরা প্রার্থীর আত্মিয়স্বজনসহ ১১ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ডা. পিয়াংকা আবেগ তাড়িত হয়ে জেলা রিটানিং কর্মকর্তাকে ঘটনার বিবরণ খুলে বলেন এবং এর বিচার ও তার নিরাপত্তার দাবী জানায়। জেলা রিটানিং কর্মকর্তা এসময় প্রার্থীকে শান্ত হয়ে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়া রিটানিং কর্মকর্তা ঘটনাটি নির্বাচনী ইলেক্ট্ররিয়াল সেলে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ডা: প্রিয়াংকার সাথে বেরিযে যাওয়ার পথে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাতেম আলী চেয়ারম্যানকেও আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় চরাঞ্চলসহ জেলার সর্বত্র চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন