মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বিকেলে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে জানান, গত দু’দিনে শাহপরাণ, জালালাবাদ, এয়ারপোর্ট ও দক্ষিণ সুরমা থানায় আরো ৪টি গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থানায় বিএনপির ৫৭ জন নেতাকর্মীকে আসামী কর হয়েছে। গত দু’দিনে বিএনপি ও ২৩ দলের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মুফতি বদরুন নুর সায়েক, হাটখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আজির উদ্দিন, মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ওলিউর রহমান ডেনি, মহানগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, ১৬ নম্বর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুম্মান আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি বেলাল আহমদ, যুবদল নেতা গাজী লিটন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা মীর্জা জাহেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ ঘোষ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহজাহান আহমদ, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চমক আলীর পুত্র সোহেল আহমদ, ছাত্রদল নেতা জাহেদ আহমদ, সোহেব খান, তানজিল আহমদ, ১৬ নং ওয়ার্ড জাসাসের সাধারণ সম্পাদক রুমান খান, বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান ডালিম, খোরশেদ আলম প্রমুখ। শাহপরাণ থানার গায়েবী মামলায় খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাজাহারুল ইসলাম ডালিমসহ শতাধিক নেতকার্মীকে আসামী করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সাদা পোষাকে সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করতে গেলে জনতার প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এদেরকে গ্রেফতার করা ছাড়াও প্রতিটি সেন্টার কমিটির সভার পর পরই পুলিশ ঐ এলাকায় হানা দিয়ে কমিটির নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাদেরকে না পেয়ে ৩০ তারিখে এলাকায় না থাকার জন্য পরিবারকে হুমকী দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি একেএম তারেক কালাম, খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন, টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ আহমদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশীর নামে ভাংচুর চালিয়েছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন