চাহিদানুযায়ী ওমরাহ কোটা বরাদ্দ না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো বিপাকে পড়েছে। দ্বারে দ্বারে ঘুরেও অতিরিক্ত কোটা বরাদ্দ না পাওয়ায় ওমরাহ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছে না বিপুল সংখ্যাক এজেন্সি। চলতি বছর প্রায় দেড় লাখ যাত্রীর ওমরাহ পালনে সউদী আরবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৭ সালে ওমরাহ মৌসুমেও কোটা শেষ হয়ে যাওয়া এজেন্সিগুলোকে ধর্ম মন্ত্রণালয় ৫শ’ কোটার অতিরিক্ত কোটা বরাদ্দ না দেয়ায় বেশ কিছু এজেন্সি ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাসের সাথে আতাঁত করে কোটার বাইরে প্রায় ৩/৪ হাজার যাত্রী সউদী আরবে পাঠিয়েছিল। এ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়কেও বিব্রত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ওমরাহযাত্রী সউদী আরবে গেছেন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার যাত্রী ওমরাহ পালন করেছিলেন। হাবের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
রাজশাহী ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তার অধীনে রাজশাহী ট্রাভেলস, এয়ার স্পীড প্রাঃ লিঃ, ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস সলিশন, ওভারসীজ লিংঙ্ক ওমরাহ এজেন্সি’র নির্ধারিত ৫শ’ কোটা অনেক দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। এসব এজেন্সি’র ওমরাহযাত্রীরা সুন্দরভাবে ওমরাহ পালন করে আগেই দেশে ফিরেছেন। উল্লেখিত এজেন্সিগুলোর অনুকূলে আরো অতিরিক্ত ১ হাজার করে ওমরাহ কোটা বরাদ্দের জন্য ধর্ম সচিবের কাছে আজ রোববার লিখিত প্রস্তাব পেশ করা হবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্বের কোনো দেশেই ওমরাহ কোটা বলতে কিছু নেই। পাকিস্তানের ওমরাহ এজেন্সিগুলো প্রতিবছর প্রায় দশ লাখ যাত্রীকে সউদী আরবে পাঠায়। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বাধার সৃষ্টি করা না হলে চলতি বছর প্রায় দেড় লাখ যাত্রী ওমরাহ পালন করতে সউদী আরবে যাবেন বলেও মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে, যে সব এজেন্সি’র কোটা শেষ হয়ে গেছে তারা অতিরিক্ত কোটা বরাদ্দের আবেদন জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পেশ করেছে। কোটা বৃদ্ধির ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয় এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়, অতিরিক্ত ওমরাহ কোটা বরাদ্দ না পাওয়ায় অনুমোতি ছাড়াই যাত্রী পাঠাচ্ছে। হাবের ওমরাহ কমিটির চেয়ারম্যান ও চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ গোলাম সরওয়ার অধীনের কয়েকটি ওমরাহ এজেন্সি’র ৫শ’ কোটা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত ওমরাহ কোটা বরাদ্দের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে বলেও সৈয়দ গোলাম সরওয়ার উল্লেখ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন