রাজধানীর মিরপুর থেকে রোমান (২৮) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা তিনটার দিকে ৬ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজারের সামনে থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আল আমিন (২৭) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এই হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
পুলিশ জানায়, নিহত রোমানের বাবার নাম আবুল। তিনি পরিবারের সাথে পল্লবীর মিল্কভিটা এলাকায় থাকতেন। আর আহত আল আমিন মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ঝিলপাড় বস্তিতে থাকেন। তার বাবার নাম রতন।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন আল আমিনের বন্ধু মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র মিজানুর রহমান বলেন, আল আমিন মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ঝিলপাড় বস্তিতে পরিবারের সাথে থাকে। তার বাবার নাম রতন। আল আমিন ১০ নম্বর সেকশন এলাকার ফুটপাতে খোলা তেল বিক্রি করতেন।
মিজান বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে তারা মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন থেকে ১০ নম্বর সেকশনের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৬ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজারের সামনে পৌঁছালে ৫/৬ জন যুবক অতর্কিতভাবে আল আমিনের ওপরে হামলা করে এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুঁপিয়ে জখম করে। পরে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তবে হামলাকারী যুবকদের তারা চেনেন না বলে জানান। এছাড়া নিহত রোমানও তাদের পরিচিত নয় বলে মিজান জানান।
মিজান আরও বলেন, হামলার পরে তিনি আল আমিনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ফার্মেসি ও পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে নিয়ে ভর্তি করেন। আল আমিনের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাতের গুরুতর জখম রয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, ঘটনার পর রোমানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহারাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিহত রোমানের শরীরে রড ঢুকিয়ে হত্যা করা হতে পারে। হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে প্রকৃত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সঙ্গী বদল করায় মাদকাসক্ত তরুণীকে হত্যা: এদিকে গতকাল পুরান ঢাকার বংশাল থেকে রানী (২৫) নামে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাদক সেবনের সঙ্গী বদল করায় সোহাগ নামে আরেক মাদকসেবী তাকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। রানীর লাশ ময়নাতদন্তের জান্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বংশাল থানায় ওসি সাহিদুর রহমান বলেন, গতকাল ভোরে বংশালের ওয়ালটন গলি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে সোহাগ নামে আরেক মাদকসেবী হত্যা করেছে। ওসি বলেন, রানী ও সোহাগ দু’জনই মাদকাসক্ত। তারা উভয়ই ভাসমান। বংশালে ঘটনা ঘটলেও তারা জিপিও এলাকায় বেশিরভাগ সময় থাকতো। ঘটনার পর সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, মাদক খাওয়ার পার্টনার বদল করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ ধারালো বেøড দিয়ে রানীকে গলাকেটে হত্যা করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন