শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : আমাদের পাশের বাড়ির হিন্দু ভদ্রলোক মারা গেছেন। তার ছেলেরা শ্রাদ্ধের দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা যেতে চাই নাই। কিন্তু তারা শ্রাদ্ধের দিন আমাদের বাড়িতে চাল, ডাল, মাছসহ যাবতীয় খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, এসব কি খাওয়া যাবে?

আবু সাঈদ
ইমেইল থেকে।

প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:১৩ এএম

উত্তর : খাওয়া হারাম হবে না। তবে, না খাওয়াই উত্তম। হিন্দু বলে নয়, মুসলিম মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনেরা যে মেলা, দাওয়াত, খরচ, জিয়াফত ইত্যাদি করে, সতর্ক ব্যক্তিরা এসব থেকেও দূরে থাকেন। মুসলিম মনীষীদের মধ্যে একটি কথা চালু আছে যে, ‘ত্বআ’মুল মাইয়্যিতি ইউমিতুল ক্বালব’ অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির জন্য যে খানা খাওয়ানো হয়, তা খেলে অন্তরের মৃত্যু ঘটে। আধ্যাত্মিক ক্ষতি হয়। সুতরাং সচেতন ব্যক্তিরা এসব খানা এড়িয়ে চলেন। অবশ্য অভাবী কিংবা স্বল্প আয়ের লোকেদের জন্য এসব খানায় কোনো সমস্যা নেই। তারা প্রয়োজনে এসব খানা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। হিন্দুদের শ্রাদ্ধের খানাও অনুষ্ঠানে শরিক হয়ে খাওয়া নিষেধ। আপনাকে যেহেতু তারা খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন, সেসব আপনি খেতে পারেন। তবে, তাদের না জানিয়ে এসব অভাবী লোকেদের দিয়ে দেয়াই উত্তম। তারা যেন মনে কষ্ট না নেয়, আর আপনিও অনুত্তম খাদ্যগ্রহণ থেকে রক্ষা পান। অবশ্য এ খানা আপনার জন্য হারাম নয়। খেয়ে থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Add
মোঃ গোলাম হায়দার হারুন ২০ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 1
হযরত আদম (আঃ) এর পরে নবুয়ত পেয়েছেন করেন হযরত শীষ (আঃ), উনার পরের নবী কে? পর্যায়ক্রমে নবীদের নাম আমরা অনেকেই জানি না। দয়াকরে জানালে উপকৃত হব। যদিও ১ লাক্ষ ২৪ হাজারের নাম লেখা সম্ভব নয়। তারপরও বলব, সংক্ষেপে সিরয়াল অনুপাতে জানাবে। ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
Add
কবির আলী ২০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৯ এএম says : 1
ধন্যবাদ অনেক উপকৃত হলাম।
Total Reply(0)
Add
Zulfiqar Ahmed ২০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৯ এএম says : 1
আমি নিয়মিত প্রশ্ন উত্তর পড়ি। ইনকিলাবকে ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
Add
Al Mahjab ২০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 1
প্রিয়নবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা মোবারক হবে। একজন মুমিনের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া প্রাণের প্রিয়নবীর আপন হওয়া, প্রাণের প্রিয়নবীকে পাওয়া মানে স্বয়ং আল্লাহ কে পাওয়া। প্রাণের প্রিয়নবীর হতে না পারলে আল্লাহ কে ও পাওয়া সম্ভব না। অতএব, প্রাণের প্রিয়নবীর রওজা মোবারক জিয়ারত করা মুমিনের জন্য শুধু ইবাদত ই না, তার জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত বড় রহমত পাওয়া।
Total Reply(0)
Add
হুমায়ুন কবির ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:৫২ পিএম says : 0
আমার ১০ বৎসর বয়সী মেয়েকে একজন হাফেজ সাহেব আরবী শিক্ষা দেন।নামাজ শিখাতে গিয়ে তিনি বলেছেন ---চার রাকাত বিশিষ্ট সুন্নত নামাজের শেষের দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে অন্য সুরা মিলানোর দরকার নেই। মাসালাটি কতোটুকু সঠিক?
Total Reply(0)
Add
Abdus Samad ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:৩২ পিএম says : 0
অনেক সুন্দর
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ