অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর স্ত্রীসহ আত্মগোপনে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন হাজারী ও তার স্ত্রী গৃহিনী হালিমা বেগম। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের পক্ষ থেকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত তিন কোটি দুই লাখ ৩২ হাজার টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, ১৪ জানুয়ারি তারা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। এরপর থেকে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা। তাদের বিরুদ্ধে ৬ জানুয়ারি নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলা করে দুদক। নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন হাজারী এখন চট্টগ্রাম-কুমিল্লা-সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসার্স এক্সিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তবে পলাতক অবস্থা থেকে যেকোনো সময় তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারে বলে ধারণা করছেন দুদকের কর্মকর্তারা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, তার স্ত্রীর তিন কোটি দুই লাখ ৩২ হাজার টাকার সম্পদের মালিক। তবে এ সম্পত্তির গ্রহণযোগ্য কোন তথ্য পায়নি দুদক। পোল্ট্রি খামারের মাধ্যমে তার এ টাকা আয় করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও ওই খামারের কোন অস্তিত্ব পায়নি দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে রাখায় স্বামীকেও মামলায় আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, আমজাদ হোসেন ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস এপ্রেইজার পদে যোগ দেন। ১৯৮৭-৮৮ করবর্ষ থেকে ২০১১-১২ করবর্ষ পর্যন্ত হালিমা বেগম তার আয় দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং ব্যয় দেখিয়েছেন ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৭৯ টাকা। প্রদর্শিত ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ টাকা আয়ের মধ্যে নগরীর পতেঙ্গা বন্দরটিলা মৌজায় ১০ শতক জমির ওপর নির্মিত পোল্ট্রি খামার থেকে আয় দেখিয়েছেন ৩ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫০ টাকা। বাকিগুলো অন্য খাত থেকে। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তার এ দাবি প্রমাণিত হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন