নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম আলমগীর হোসেন (৩০)। গতকাল রোববার রাতে নগরীর ফতুল্লার দেওভোগ পানির ট্যাঙ্ক এলাকায় হত্যাকান্ডের ওই ঘটনা ঘটে। নিহত আলমগীর ওই এলাকার নূরু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। সে মুন্সীগঞ্জের দশলং এলাকার লাল মিয়ার ছেলে। স্থানীয় ভাবে আলমগীর পুলিসের সোর্স হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি সে ফতুল্লার পঞ্চবটির বিসিকে সাব কন্ট্রাক্টে বিভিন্ন গার্মেন্টের কাজ করতো।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহতের ভাতিজা শাকিল বলেন, গতকাল রাতে দেওভোগ পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন অতর্কিতে আলমগীরের উপর হামলা চালায়। তারা আলমগীরকে চারপাশ থেকে ঘিরে বুক ও পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আলমগীর অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আলমগীরের শরীরে মোট ১৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহতের পরিবারের একাধিক সদস্য জানায়, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে চলামান মাদক বিরোধী সাড়াশি অভিযানে আলমগীর দেওভোগ এলাকার চিহ্নিত ১২ মাদক ব্যবসায়িকে ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সহায়তা করে। একারণে ক্ষুব্ধ মাদক ব্যবসায়িরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে।ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কার কী কারণে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন