সম্প্রতি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া সিনেমা হলের সামনে একজনকে কুপিয়ে গুরুত্ব জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার ২৮ নভেম্বর এক এজাহারের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায় দৌলতদিয়া মনোরমা সিনেমা হলের সামনে২৩ নভেম্বর অনুমান বেলা ৩ ঘটিকার সময় একজনকে কুপিয়ে গুরুত্ব জখম করেছে। এ বিষয়ে আহত ইদ্রিস মন্ডলের ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে।মামলার আসামীরা হলো, সোহরাব মন্ডল পাড়ার রমজান ফকিরের ছেলে মো. রিপন (২৬), সোহরাব মন্ডল পাড়ার মহিউদ্দিন ফকিরের ছেলে জহুরুল ফকির(২২), একই এলাকার কাশেম ফকিরের ছেলে ফারুক ফকির, বাহির চর দৌলতদিয়া শাহাদৎ মেম্বার পাড়ার মৃত্যু করিম পালের ছেলে শহিদ পাল(৪০), বাহির চর দৌলতদিয়া দুলাল বেপারী পাড়ার মৃত্যু তাহের মোল্লার ছেলে বাবুল মোল্লা(৪৫),আরো তিন চার জনকে অজ্ঞাত রয়েছে। তাদের মধ্যে চার নাম্বার আসামী শহিদ পাল গ্রেফতার রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাদের জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার বিষয়ে বিরুদ্ধ চলে আসছে। উক্ত বিরুদ্ধের জের ধরে গত ইং ২৩/১১/২২ তারিখে দৌলতদিয়া টার্মিনাল থেকে পায়ে হেঁটে পোড়াভিটায় যাওয়ার সময় একই তারিখে বেলা অনুমান০৩ ঘটিকার সময় সোহরাব মন্ডল পাড়া সাকিস্থ মনোরমা সিনেমা হলের সামনে পাকা রাস্তা উপরে উপরোক্ত বিবাদী গনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বেআইনি জনতায় দলবন্ধ হয়ে বাদীর পিতাকে খুন করার উদ্দেশ্যে হাতে ধারালো চাইনিজ কুড়াল ও লাঠি শোঠা নিয়ে গতিরোধ করে। তার কিছু বুঝে উঠার আগেই ১ নং আসামীর হাতে থাকা ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে
তার কপালের উপরে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুত্বরে রক্তাক্ত জখম করেছে। ২ নং আসামী তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে তার মাথা লক্ষ করে এলোপাথাড়ি কোপ দিলে উক্ত কোপ বাম হাত দিয়ে ঠেকালে বাম হাতের কজ্বি ও আঙ্গুলে লেগে গুরুত্ব রক্তাক্ত কাটা জখম হয়এবং ৩ নং আসামীও শহিদ পাল খুনের উদ্দেশ্যে ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে পেটসহ বুকের বাম পাশে একাধিক কোপ দেয়।সে সময় তার শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম করে।৫/৬ ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাথারি ভাবে মারপিটও নীলা ফোলা করেছ শরীরের বিভিন্ন অংশে। আসামীদের আঘাতে বাদীর পিতা চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা প্রান নাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত দৌড়িয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের রেফার্ড করে। বর্তমান সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার( ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার বলেন,এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন