মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছেলেকে গ্রেফতার করায় পুলিশকে কোপাল মা

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

 নওগাঁর আত্রাইয়ে নারী নির্যাতন মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে আসামীর স্বজনের হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুইজন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সেই সাথে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী সোহেল রানা (২৫)। তার মা সূর্যভান (৪৫), বোন নাজমা খাতুন (২০) ও পাখি (১৮)।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আত্রাই উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থেকে উপজেলার মদনডাঙ্গা গ্রামের সোহেল রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মোবারক হোসেন মামলার দায়িত্ব দেন এএসআই মনির উদ্দিনের উপর। বুধবার সকালে আসামী সোহেল রানাকে আটকের জন্য পুলিশ কনস্টেবল আজিজুল হককে সাথে নিয়ে মদনডাঙ্গা গ্রামে যান মনির উদ্দিন। এ সময় সোহেলের বাড়ী থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। ঘটনায় সোহেলের মা ও দুই বোন সোহলেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেয়ায় সোহেলের মা ধারালো বটি (দা) দিয়ে মনির উদ্দিনের উপর হামলা করেন। এ সময় মনির উদ্দিনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। হামলায় মনির উদ্দিনের ডান বাহুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা কনস্টেবল আজিজুল হকও আহত হন। পরে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আসামীসহ চারজনকে আটক করে। আহত পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুইজনকে উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, যৌতুকের মামলার আসামী ছিলেন সোহেল রানা। তাকে আটক করা হলেও তার স্বজনরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং পুলিশের উপর হামলা করে। পরে থানা পুলিশ গিয়ে আসামীসহ চারজনকে আটক করা হয়। সরকারি কাজে বাধাপ্রদান করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন