বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাহিত্য

এ সপ্তাহের কবিতা

| প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪১ এএম | আপডেট : ৯:৫২ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯


রহমান মাজিদ
আশার কবুতর

সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে রুয়ে দেয়া আমার ভাবনার দানাগুলো তরতর করে বেড়ে উঠে মাথা উচিয়ে রেখেছে পানির উপরে ভাসমান আমন ধানের শীশের মত
চলনবিলের মত প্রসারিত দৃষ্টির সীমা বিছায়ে দিয়েছি বঙ্গপোসাগরের উপর যা উচুনিচু ঢেউয়ের তুলে পৌছে গিয়েছে
তার উৎপত্তি¯’ল হিমালয়ের পাদদেশে
ইচ্ছের দুরন্ত হাওয়া তারেকের সৈন্যদের মত মেঘমালাকে তাড়িয়ে নিয়েছে সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়া অবধী
কল্পণার বাতাসে ভাসতে ভাসতে আমি মাড়িয়েছি
পৃথিবীর সবগুলো মহাদেশ
পাঁই পাঁই করে ঘুরে বেড়িয়েছি কাল্পনিক স্বপ্নের সানুদেশে
মগজের ধারণ সীমার সবটুকু উজার করে দুনিয়াময়
দেখেছি আমার চিন্তার মহা বিজয়
মধ্যবয়সে আমার ইপ্সিত চিন্তার বিজয়ে আহ্লাদিত হলেও
কিছুটা চিন্তিতও বটে
আমার আশার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বীজগুলোতে কারা যেন
মিশিয়ে দিয়েছে একমুঠো ভেজাল ভাইরাস
যেন মাটি ফুঁড়ে মাথা তুলতে না পারে তার চারাগুলো
তবে বিমাতার কুটিল জাল ছিঁড়ে অনন্ত আকাশে চক্কর মারছে সম্ভাবনার এক ঝাঁক শাদা কবুতর।

এরশাদ জাহান
দুঃখ

সুখ নামের রঙ্গিলা, ও পাখিরে তুই
আমার উঠোনে এসে কোকিলের মতো
বসন্ত...বসন্ত রবে সাজিস মেহমান?
দুঃখগুলো ঠোঁটে তুলে পর›ছানা করে
দিস বেদম আছাড় ! থাম রে নিষ্ঠুর!
দুঃখ তো আমার সাতপুরুষের ভিটে
হাড্ডিসার একজোড়া হালের বলদ,
সে আমার চাষাবাস; সংসার, সাকিন.....
এতসব ফেলে আমি কোত্থাও যাবো না!
না আসিস বারংবার ভুল ঠিকানায়।
শুন, ফুলকুড়ানি সেই শিশুদের মতো
সকাল-সন্ধ্যায় দুঃখ কুড়িয়ে কুড়িয়ে
অপেক্ষার সুতো ও সুঁচে পরম যতে্ন
গেঁথে যাবো আমি বিভু বরণের মালা।

ইসমাঈল মুফিজী
ক্ষুধার্ত বক

আপেল বৃক্ষের দীক্ষা নিয়ে
আইজ্যাক নিউটন বিজ্ঞানী হন
সর্ষে ফুলের দর্শন দিয়ে
তেলবাজিতে ডুবাই মনন।

ফুলেরাও আজ ধর্ষিতা হয়
বাগানে তুলে সডির ঘর
কুকুর মুখে ড্রেনের মলয়
খুঁজে সে তার প্রকৃত বর।

এক শহরের নতুন পথে
সাইনবোর্ড হলো পথপ্রদর্শক
নেমেছিলাম কোস্টার হতে
মানুষগুলোই ক্ষুধার্ত বক।

ভুলু রহমান
পাথরের হৃদয়ে ঘৃণার গ্রেনেড

আমি দুঃখ দেখেছি
কবির কবিতায়...
আমি মর্মাহত হয়েছি
প্রতিটি চরণে চরণে..
আমি ব্যথিত হয়েছি
কঠিন বাস্তবতায়...
আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি
রক্ত মাংসের শিরায় উপশিরায়...
আমি বিবেকের তাড়নায় বার বার
জেগে উঠি নির্মমতায়...
আমি হানাদারদের নিষ্ঠুরতার
বাস্তব ভাসমান লাশ দেখেছি...
আবার দেখেছি হায়েনাদের
চরম নিষ্ঠুরতাও ....
অথচ আমি প্রাণহীন ভাস্কর্যের মত
পাথরের হৃদয়ে ঘৃণার গ্রেনেড হাতে
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছি.......
কবে দেহ ফিরে পাবে প্রাণ?
ধ্বংস করবো হানাদার আর হায়েনাদের
ভয়ঙ্করী দানবীয় জান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন