শ্রাবণ যাপন
এস এম কাইয়ুম
আমার টিনের ঘরে সমস্ত চালাটাই
নৃত্যের উদ্যান
শ্রাবণের চপল পায়ে বাজে বৃষ্টিনূপুর
নিভৃত শ্রাবণ যাপন!
হাঁসের লাল পায়ে নেমে আসা সন্ধ্যা
থৈ থৈ আঁধারে ডাহুকের ডাক।
ভেসে যাওয়া ঘর গৃহস্থালিতে বসুক
পুঁথিপাঠ কিংবা মহুয়ার পালা
বয়ামে জমানো কথারা আজ
উড়ে যাক বৃষ্টির দেশে
ফোঁটা ফোঁটা ঝরে পড়–ক প্রকৃতির কেশে।
বর্ষা ও ভালোবাসা
রহিমা আক্তার মৌ
আবছা আলোটা সরে যেতে যেতেই মুহূর্তের মাঝে
অস্পষ্ট ও অদৃশ্যের খেলায় মগ্ন,
যেন ভালোবাসা আর প্রেমের লীলাখেলা।
অবিশ্রান্ত ঝরঝর বৃষ্টির শব্দগুলো
সকালকে বিকেল আর বিকেলকে সন্ধ্যা করে
তবুও স্পর্শ বা অস্পর্শ ছায়া তোমার পড়ে না।
নীল আকাশের সাদা মেঘের সাথে
বন্ধুত্ব করতে মন উদাস হয়ে ওঠে,
সাদা মেঘমালা ধূসর হতে হতে
কালো মেঘে ছেয়ে যায়
তখনও দেখি বিষণœ সন্ধ্যায় মেঘাবৃত আকাশ আমার।
বোবা প্রকৃতি যেন অঝোর ধারায় বিলাপ করে
বেদনার অন্তলীন বাদল বাতাসের দীর্ঘশ্বাসে,
বৃষ্টির পর শান্ত মুহূর্ত যেমন খোঁজে প্রকৃতিকে
ঠিক তেমনি জানালা খুলে হৃদয়ের
সুরগুলোকে কাব্যে পরিণত করি
শুধু তুমি আসবে বলে, ভালোবাসবে বলে।
আষাঢ় যায়, শ্রাবণ আসে
বর্ষার থৈ থৈ জলে শালুক শাপলা হাসে
তবুও ভালোবাসার পসরা সাজিয়ে তুমি আসো না
একটু ভালোবাসো না,
ভরা জোয়ারের উথলেপড়া ঢেউকে কাছে টানে সাগরের তীর
তেমনি কাছে টানি তোমায়,তবুও তুমি বোঝো না।
জোয়ারকে যেমন সময়মত দেখতে হয়
যৌবনকেও ঠিক সময়ে স্পর্শ করতে হয়,
তুমি বোঝো আর নাই বোঝো
জোয়ার আর যৌবন
কেউ কারো জন্যে অপেক্ষা করে না।
আষাঢ়ের দিন
রাসেল আবদুর রহমান
আষাঢ়ের দিন বলে জলের উড়াল
আকাশের বুক তাই ঢেকে আছে কালো মেঘে
মেঘে মেঘে খেলে খেলে নামে বাদলের ঢল
চারিদিকে জল ছলছল তাই দেখে কদমের শাখে
হাসে হলুদ পাপড়ি দল।
জীবনের প্রয়োজনে নানা আয়োজন থামে না তো কেউ
তবু মনবউ নেচে চলে বর্ষার মাতামে
নেচে নেচে যায় কতো দূরে স্মৃতির নীরব দুয়ার খুলে তো দেয় ঢেউ!
আষাঢ়ের দিনে বর্ষাজলে রূপ ফুটে চারিদিকে
রূপজলে দেয় ডুব ক্ষুধার দু’চোখ খোঁজে মনের খোরাক!
এই বেলা জলজের মেলা, নাচে হেলেদুলে
থই থই জলে মন দুলে সত্যিই অবাক!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন