পটুয়াখালী সদর থানার ওসির তত্ত¡াবধানে থাকা এক মানসিক রোগীর গর্ভে জন্ম নেয়া নবজাতক কন্যা ফাতেমা রহমানের অবশেষে ঠাঁই হয়েছে বরিশালের অগৈলঝারার বিভাগীয় বেবি হোমে।
বেবি হোমে ফাতেমা রহমানকে আনুষ্ঠাকিভাবে হস্তান্তর করেছেন পটুয়াখালী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
আগৈলঝাড়ার বিভাগীয় বেবি হোমের উপ-তত্ত¡াবধায়ক আবুল কালাম আজাদ নবজাতক ফাতেমা রহমানের জন্ম সম্পর্কে জানান, গত ১৪ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলা সদরের কমলাপুর এলাকায় প্রসব বেদনায় ছটফট করা মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃস্বত্ত¡া নারীকে সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান মহানুভবতা দেখিয়ে নিজে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় পাগলী ওই প্রসূতি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। অনেক খুঁজেও শিশুটির মাকে আর না পেয়ে শিশুটির অভিভাবকের দায়িত্ব নেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২৭ জানুয়ারি শিশুটিকে পটুয়াখালী সমাজসেবা অধিদপ্তারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিচয়হীন এই নবজাতকের পরিচয় নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান তার মরহুম মায়ের নামানুসারে নবজাতক শিশুটির নাম রাখেন “ফাতেমা রহমান”।
পটুয়াখালী জেলা সমাসেবা কার্যালয়ের হিসাব সহকারী সিদ্দিকুর রহমান ও হাসপাতালের একজন নার্স বুধবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিশু ফাতেমাকে আগৈলঝাড়ায় বিভাগীয় বেবি হোমে হস্তান্তর করেছেন।
বেবী হোমের উপ-তত্ত¡াবধায়ক আরও জানান, ফুটফুটে ফাতেমার অপুষ্টিজনিত সমস্যা থাকলেও বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। শিশুটিকে কেউ দত্তক নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে আদালতই উপযুক্ত অভিভাবক নির্ধারণ করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন