শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘আমরা অবৈধ অভিবাসনে বিশ্বাস করি না’

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে বিশ্বের একাধিক দেশের অভিবাসী রয়েছে। আবার বিশ্বের একাধিক দেশেও বাংলাদেশের অভিবাসীরা রয়েছে। তবে অভিবাসন নিয়ে বাংলাদেশের নীতি পরিষ্কার। বাংলাদেশ অবৈধ অভিবাসনে বিশ্বাস করে না। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের সম্ভাবন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে কসমস ফাউন্ডেশন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই অভিবাসন প্রশ্নে বাংলাদেশের নীতি পরিষ্কার করেছেন। টেকসই উন্নয়ন কখনোই অবৈধ অভিবাসনকে সমর্থন করে না। তাই বিশ্বের একাধিক দেশে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই নির্দেশ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সারাবিশ্ব যে চাপে ফেলেছিল, বাংলাদেশ সেই চাপ মোকাবেলা করে পোশাক খাতে শ্রমিকবান্ধব ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। পোশাক কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে অচিরেই উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে প্রবেশ করবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) নিশ্চিত করতে পোশাক খাতে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমাদের মধ্যে খুবই চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। ২০০১ সালে আমাদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নিয়ে চুক্তি হওয়ার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ২০০৬ সালে আমাদের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা নিয়ে চুক্তি হয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের প্রতি ইইউ’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ইউরোপে শুধুমাত্র বৈধভাবেই অভিবাসীরা থাকতে পারবে। ইউরোপের অভিবাসী হতে হলে যেসব নিয়ম-নীতি রয়েছে তা মেনেই থাকতে হবে। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন