রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কানাডার মুসলিম নারী আলিয়ার অনন্য উদ্যোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:৪৪ পিএম

ফটোগ্রাফার আলিয়া ইউসুফ কানাডায় বসবাসরত অনেক মুসলিম নারীর আলোকচিত্র তুলতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন। এমন কি ২৩ বছর বয়সী তরুণ এই আলোকচিত্রী কানাডায় বেড়ে উঠা মুসলিমদের সম্পর্কে তার যে ধারণা তা সঠিকভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে তাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।
ইউসুফের পরিবার তার ৮ বছর বয়সের সময় মিশর থেকে কানাডায় পাড়ি জমায় এবং তারা কানাডার ভানকুয়েভার নামক স্থানে বসবাস করতে শুরু করেন, যেখানে থাকতে থাকতে একসময় আলিয়া ইউসুফ তার মুসলিম পরিচয় কিভাবে লুকাতে হয় তা পুরোপুরি শিখে গিয়েছিলেন।
কানাডার টরোন্টোর তরুণ আলোকচিত্রী হিসেবে আলিয়া ইউসুফ সিদ্ধান্ত নেন যে, মুসলিম নারীদের সম্পর্কে ছড়িয়ে থাকা নেতিবাচক ধারণাসমূহ দূর করার জন্য একই সাথে তার দায়িত্ব এবং যোগ্যতা দুটোই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘মুসলিম নারীদের একটি একক প্রতিচ্ছবি তৈরি হয়েছে যা বারবার তাদের গায়ে সেঁটে দেয়া হয়। সবাই মনে করেন, সকল মুসলিম নারী শোষণের শিকার, তারা নীরব, তাদের জীবনের উপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, তাদের জীবন পরিচালিত হয় তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ইচ্ছানুসারে।’
আলিয়া ইউসুফ মুসলিম নারীদের সম্পর্কে এসব নেতিবাচক ধারণা দূর করার জন্য ‘দ্য সিসটার প্রজেক্ট’ নামে কানাডার মুসলিম নারীদের নিয়ে একটি আলোকচিত্র ধারণের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন এবং একই সাথে তিনি এর মাধ্যমে কানাডায় বসবাসরত মুসলিম নারীদের সামাজিক অবদানসমূহ তুলে ধরেন। আর এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে তিনি কানাডার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন এবং দেশটির অন্তত ২০০ মুসলিম নারীর আলোকচিত্র ধারণ করেছেন।
বর্তমানে তিনি কানাডার টরোন্টো শহরের রাইয়াসন ইমেজ সেন্টারে আয়োজিত এই প্রকল্পে ধারণকৃত আলোকচিত্রগুলোর সমন্বয়ে তার প্রথম প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন।

তিনি আশা করেন এর মাধ্যমে তিনি কানাডার মুসলিম নারী, মুসলিম জনগণ এবং তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পর্কে একটি ধারণা দিতে পারবেন।
আয়ান নামের এই মুসলিম নারী বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই যে, একজন কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম নারী হিসেবে আমার কিছু অযাচিত অভিজ্ঞতা রয়েছে, কারণ আমি সবসময় আমার বর্ণ এবং ধর্ম নিয়ে চিন্তিত থাকি। যখন আমি ছোট ছিলাম সেসময় আমি ভাবতাম যে, আমি সমাজেরই অংশ এবং তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে আমি বুঝতে পারলাম যে, লোকজন আমার সাথে যোগাযোগ করার সময় কিভাবে তাদের মনোভাব পাল্টে নেয়।’
আয়েশা নামের এই মুসলিম নারী বলেন, ‘জীবনে অনেক উপহার পেয়ে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি এবং অগুণতিত এসব উপহারের প্রায় সবগুলোই আমি নিজে অর্জন করে নেইনি, শুধুমাত্র ভাগ্যই এগুলোকে আমার নিকটে এনেছে।’
ডাইহিয়া নামের এই নারীর ভাষায়- ‘আমার হিজাব আমার ধর্মের প্রতিনিধি এবং লোকজন আমাকে স্বাগত জানায় এই ভেবে যে, আমি সিরিয়া থেকে আগত কোনো উদ্বাস্তু। আমি প্রথাগত ধারণা ভেঙ্গে দিতে পছন্দ করি, সুতরাং লোকজন আমাকে নিয়ে ঠিক কি ভাবল তা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। তারা যাই চিন্তা করুক না কেন আমি তা আমার অনুকূলে নিয়ে নিই।’সূত্র: ইন্টারনেট।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন