শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাউজানে অপহরণ করে লাশ গুমের মামলা!

১৬ মাস পর জীবিত উদ্ধার করল পুলিশ

রাউজান উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:০৮ পিএম

রাউজানে পুলিশ হেফাজতে প্রেমিক ছাদেক ও প্রেমিকা নাছিমা আকতার।


রাউজানে প্রেমিকের সাথে পালিয় গিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা প্রেমিক প্রেমিকার। ১৬ মাস পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে লুকিয়ে থাকা প্রেমিক ছাদেক ও প্রেমিকা নাছিমাকে অবশেষে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে রাউজান থানা পুলিশ। থানার সেকেন্ড অফিসার নুুরুন্নবী জানান শনিবার রাতে পুলিশ চন্দনাইশে অভিযান চালিয়ে প্রেমিক প্রেমিকাকে উদ্ধার করে আটক করেন। সূত্র মতে অপহরন পরবর্তি হত্যা করে লাশ গুম সাজিয়ে আদালতে দায়ের করা মামলায়ও শেষ রক্ষা হলোনা প্রেমিকা নাছিমা আকতার (২৫) ও প্রেমিক অটোরিক্সা চালক মুহাম্মদ ছাদেক (৩২) এর। রাউজান থানা পুলিশের নোয়াপাড়া ফাঁড়ির এস আই শেখ জাবেদ হোসেন কৌশলী ফাঁদ পেতে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে জেলার চন্দনাইশ থেকে। সুত্র মতে প্রেমিক প্রেমিকাকে বাঁচানোর জন্য অপহরন পূর্বক নাছিমাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে অভিযোগ এনে নিরীহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করেন নাসরিন আকতারের ভাবী পারুল আকতার। অভিযোগ উঠেছে যেনে শুনে বাদী অপহরন নাটক সাজিয়ে হয়রানী করেছেন প্রবাসী ইয়াকুব আলীর পরিবারকে। পুলিশের বিশেষ নজরদারীতে এ ঘটনা রহস্য উদঘাটিত হয়েছে বলে জানান ইয়াকুব আলীর স্বজনরা।২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সংঘটিত এ ঘটনা নিয়ে সে সময় মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হলেও দীর্ঘ তদন্তকালে আসল রহস্য বের করতে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই চট্টগ্রামও এ মামলাটি তদন্ত করেন। পুলিশ হেফাজতে নাছিমা আকতার ও ছাদেক সাংবাদিকদের জানান, আমরা একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করে চন্দনাইশে ভাড়া বাসা নিয়ে সংসার করছি। নাছিমা জানান আমাকে কেউ অপহরন করেনি আমি যেনে শুনে অপহরন নাঠক করেছি। প্রসঙ্গত, রাউজান উপজেলার বৃহত নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চৌধুরী হাট ঘাটকুল এলাকার রুহুল অমিন সওদাগর বাড়ীর মৃত আবদুর রহমান প্রকাশ এলাহি বক্সের পুত্র প্রবাসী এয়াকুব আলী প্রকাশ শেখ আহম্মদের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী নাসিমা আকতার (২৫) গত ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে একই এলাকার চৌধুরী হাট ঘাটকুল এলাকার ফুলমিয়া বস্তির বাড়ীর মোঃ হাবিব প্রকাশ বোবা মিয়ার পুত্র সিএনজি অটোরিক্সা চালক ছাদেক (৩২) কে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর হয়ে যায় অপহরন মামলা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন