পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কলেজছাত্রী জয়ন্তী রানী মালা প্রেমের টানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে একই উপজেলার মো. খোকনকে বিয়ে করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশাল জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। জনৈক মসজিদের ইমামের মাধ্যমে কালিমা শরীফ পাঠ করে মুসলিম হন। জয়ন্তী রানী মালা ধর্মান্তরিত হওয়ায় নাম পাল্টে হয়ে যান ফাতেমা বেগম। এরপর বরিশাল জেলা চৌমাথা বাজার নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে ফাতেমা বেগম ও মো. খোকন বিয়ে করেন।
জয়ন্তী রানী মালা (ফাতেমা বেগম) কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কিসমতপুর গ্রামের সুনীল কুমার সেনের মেয়ে ও সুবিদখালী সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মো. খোকন একই উপজেলার দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়নের পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর খানের ছেলে।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা সুনীল কুমার সেন বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে মো. খোকন, তার পিতা মো. জাহাঙ্গীর খান, ভাই মো. ইমরান ও মাতা মোসা. কমলা বেগম এবং দুই চাচা মো. আজিজ খা ও সেলিম খা-কে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে মো. আজিজ খা-কে আটক করে পুলিশ।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা ফাতেমা বেগম (জয়ন্তী রানী মালা) বলেন, আমি নিজ ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাকে বিয়ে করেছি। মুসলমানদের ধর্মীয় রীতিনীতি এবং আচার অনুষ্ঠান ছোট বেলা থেকেই আমার ভালো লাগত। তাদের ছেলে-মেয়েদের সাথে চলাফেরা করতে করতে ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার সৃষ্টি হলে স্কুল জীবনে খোকনের প্রেমে পড়ি। বয়স না হওয়ায় তখন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও বিয়ে করতে পারিনি। এখন বয়স হওয়ায় মুসলমান হয়ে তাকে বিয়ে করেছি।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিবুল্লাহ্ বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন