বসন্তের বর্ষণ হয়েছে উপভোগ্য। ধূলোবালির যন্ত্রণা থেকে নগরবাসী পরিত্রাণ পেয়েছেন। আবার অকাল বর্ষণ দুর্ভোগের কারণ তৈরি করেছে কোথাও কোথাও। দেশের অধিকাংশ স্থানে গতকাল (রোববার) হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজশাহী বিভাগসহ কয়েক জায়গায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি কোথাও ছিল প্রবল, কোথাও কম। শিলাবৃষ্টিতে ফল-ফসলের কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশের সঙ্গে পূবালী বায়ুর মিলনের ফলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজও (সোমবার) দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকায় ২৭ মিলিমিটার। এ সময় রাজশাহীতে ১৭, কুমিল্লা ও সিলেটে ৯, কুমারখালীতে ১০, ফেনীতে ৫, টাঙ্গাইলে ৩, নিকলিতে ৪, যশোর, রাঙামাটি ও রাজারহাটে ২ মিলিমিটারসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। অসময়ে প্রায় দেশজুড়ে বর্ষণের ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে এসেছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১১.৫ এবং সর্বোচ্চ পটুয়াখালীতে ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৫.৭ এবং সর্বনিম্ন ১৫.৫ ডিগ্রি সে.।
এদিকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সে. হ্রাস এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন