শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লালমনিরহাটে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি, ইরি-বোরোর ক্ষতি

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:২৮ পিএম

লালমনিরহাটের উপর দিয়ে আবারো বয়ে গেছে শিলাবৃষ্টি। এতে উঠতি ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। আজ বুধবার দুপুরে বৃষ্টির সঙ্গে টানা ৮/১০ মিনিট শিলা পড়তে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। দুপুর না গড়াতে হঠাৎ বাতাসের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় টানা ৫/৭ মিনিট ধরে শিলা পড়তে থাকে। কোথাও কোথাও ৮/১০ মিনিট স্থায়ী ছিল এ অবস্থা।
ফলে উঠতি ইরি-বোরা ধান ও ভুট্টা ক্ষেত লণ্ডভণ্ড হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে চাষির সবজি ক্ষেত। সব মিলিয়ে কৃষক পরিবারকে সর্বশান্ত করেছে এ শিলাবৃষ্টি।
এ শিলাবৃষ্টিতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলা। পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলায় শিলাবৃষ্টির কোন খবর পাওয়া নি। তবে গত মাসের শেষদিন ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এ দুই উপজেলা।
কালীগঞ্জ উপজেলার সুকান দীঘি এলাকার স্কুল শিক্ষক শাহ আলম জানান, ভয়াবহ এ শিলাবৃষ্টিতে এ অঞ্চলের ইরি বোরো ধান, ভুট্টা ও সবজির ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা ধান শিলের আঘাতে মাটিতে ঝড়ে পড়েছে। সবজি ক্ষেতের ডালপালা ফুল ও ফল ঝড়ে পড়েছে মিলার আঘাতে।
লালমনিরহাটে আদিতমারী উপজেলার বনচৌকী এলাকার কৃষক নাজিমুদ্দিন জানান, কয়েকদিন গেলেই ধানগুলো ঘরে তোলা যেত। এমন সময় আধাপাকা ধান শিলার আঘাতে মাটিতে পড়ে গেছে। তাদের এলাকায় সকালেও শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
একই উপজেলার কমলাবাড়ি এলাকার সবজি চাষি আব্দুল করিম জানান, এ শিলাবৃষ্টিতে শসা, কড়লা, ঝিঙা, চালকুমড়াসহ সব ধরনের সবজি ক্ষেতের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে। সবজি গাছের ডালপালা ও গাছ ছিঁড়ে নষ্ট হয়েছে অপরিপক্ক সবজি।
এর আগে গত মার্চ মাসের শেষদিনে লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টিতে জেলার অর্ধশত ঘরবাড়ির টিনের চালা ফুটো হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন